দৃষ্টি নিক্ষেপ করিবা মাত্র, রাজাকে দেখিতে পাইয়া কহিলেন মহাশয়! আপনি অনুগ্রহ করিয়া সিংহশিশুকে এই বালকের হস্ত হইতে মুক্ত করিয়া দেন। রাজা তৎক্ষণাৎ নিকটে আসিয়া, সেই বালককে ঋষিপুত্র বোধে সম্বোধন করিয়া, কহিলেন অহে ঋষিকুমার! তুমি কেন তপোবনের বিরুদ্ধ আচরণ করিতেছ। তখন তাপসী কহিলেন মহাশয়! আপনি জানেন না, এ ঋষিকুমার নয়। রাজা কহিলেন বালকের আকার প্রকার দেখিয়াই বোধ হইতেছে ঋষিকুমার নয়। কিন্তু এ স্থানে ঋষিকুমার ব্যতীত অন্যবিধ বালকের সমাগম সম্ভাবনা নাই, এই জন্য আমি এরূপ বোধ করিয়াছিলাম।
এই বলিয়া রাজা সেই বালকের হস্তগ্রহ হইতে সিংহশিশুকে মুক্ত করিয়া দিলেন; এবং, স্পর্শসুখ অনুভব করিয়া, মনে মনে কহিতে লাগিলেন পরের পুত্রের গাত্রস্পর্শ করিয়া আমার এরূপ সুখানুভব হইতেছে; যাহার পুত্র, সে ব্যক্তি ইহার গাত্র স্পর্শ করিয়া কি অনুপম সুখানুভব করে তাহা বলা যায় না!।
বালক অত্যন্ত দুরন্ত হইয়াও রাজার নিকট অত্যন্ত শান্তস্বভাব হইল ইহা দেখিয়া, এবং উভয়ের আকারগত সৌসাদৃশ্য দর্শন করিয়া, তাপসী বিস্ময়াপন্ন হইলেন।