ধারণ করিয়াছে; নব যৌবন বিকসিত কুসুম রাশির ন্যায় ব্যাপিয়া রহিয়াছে।
অনসুয়া কহিলেন শকুন্তলে! দেখ দেখ, তুমি যে নববালিকার বনতোষিণী নাম রাখিয়াছ সে স্বয়ংবরা হইয়া সহকারতরুকে আশ্রয় করিয়াছে। শকুন্তলা, শুনিয়া বনতোষিণীর সমীপে গিয়া, সহর্ষ মনে কহিতে লাগিলেন সখি অনসূয়ে! ইহাদের উভয়েরই অতি রমণীয় সময় উপস্থিত; নবমালিকা বিকসিত নব কুসুমে সুশোভিত হইয়াছে, এবং সহকারও ফলভরে অবনত হইয়া রহিয়াছে। উভয়ের এইরূপ কথোপকথন হইতেছে, ইত্যবসরে প্রিয়ংবদা হাস্যমুখে অনসূয়াকে কহিলেন অনসুয়ে! কি নিমিত্ত শকুন্তলা সর্ব্বদাই বনতোষিণীকে উৎসুক নয়নে নিরীক্ষণ করে,জান?। অনসূয়া কহিলেন না সখি! জানিনা,কি বল দেখি। প্রিয়ংবদা কহিলেন এই মনে করিয়া, যে মন বনতোষিণী স্বানুরূপ সহকারের সহিত সমাগতা হইয়াছে, আমিও যেন তেমনি আপন অনুরূপ বর পাই। শকুন্তলা কহিলেন ইটি তোমার আপনার মনের কথা।
শকুন্তলা, এই বলিয়া অনতিদূরবর্ত্তনী মাধবীলতার সমীপবর্ত্তিনী হইয়া, হৃষ্ট মনে প্রিয়ংবদাকে কহিলেন