পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
১১

হইয়া অভয় প্রদান করি। এই স্থির করিয়া,সত্ত্বর গমনে তাঁহাদের সম্মুখবর্ত্তী হইয়া, কহিতে লাগিলেন। বংশোদ্ভব রাজা; দুষ্মন্ত দুর্ব্বত্তদিগের শাসনকর্ত্তা বিদ্যমান থাকিতে, কোন দুরাত্মা মুগ্ধস্বভাবা তপস্বিকন্যাদিগের সহিত অশিষ্ট ব্যবহার করিতেছে।

 তপস্বিকন্যার, এক অপরিচিত যুব ব্যক্তিকে সহসা সম্মুখে উপস্থিত দেখিয়া, প্রথমতঃ কিছু ব্যস্ত সমস্ত হইলেন। কিঞ্চিৎ পরেই, অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা) কহিলেন, না, মহাশয়! এমন কিছু অনিষ্ট ঘটনা হয় নাই। তবে কি জানেন,আমাদিগের প্রিয়সখীকে এক দুষ্ট মধুকর অতিশয় আকুল করিয়াছিল। তাহাতেই কিছু কাতর হইয়াছিলেন। রাজা,ঈষৎ হাস্য করিয়া,শকুন্তলাকে জিজ্ঞাসিলেন কেমন, তপস্য বৃদ্ধি হইতেছে। শকুন্তলা সসাঞ্ছসা ও নম্ৰমুখী হইয়া রহিলেন কিছুই উত্তর দিতে পারিলেন না;; অনসূয়া, শকুন্তলাকে উত্তর দামে পরাঙ্মুখী দেখিয়া, রাজাকে কহিলেন। মহাশয়। তপস্যার বৃদ্ধি হইতেছে; এক্ষণে অতিথিবিশেষ লাভ দ্বারা বিশেষ বৃদ্ধি হইল। প্রিয়ংবদা শকুন্তলাকে সম্বোধন করিয়া কছিলেন সখি! যাও যাও কুটীর হইতে অর্ঘপাত্র লইয়া আইস; আর এই ঘটে যে জল আছে তা হাতেই পাদ প্রক্ষালন সম্পন্ন হইবেক। রাজা