পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
শকুন্তলা

প্রতীয়মান হইতে লাগিল। অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা,উভয়ের মন বুঝিতে পারিয়া,রাজার অগোচরে শকুন্তলাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন প্রিয়সখি! যদি আজি তাত কণ্ব আশ্রমে থাকিতেন তাহা হইলে জীবিতসর্ব্বস্ব দিয়াও এই অতিথিকে কৃতার্থ করিতেন। শকুন্তলা, শুনিয়া কিঞ্চিৎ কৃত্রিম কোপ প্রকাশ করিয়া, কহিলেন তোমরা কিছু মনে করিয়া এই কথা বলিতেছ; আমি তোমাদের কথা শুনিব না।

 রাজা, শকুন্তলার বৃত্তান্ত সবিশেষ অবগত হইবার নিমিত্ত একান্ত কৌতূহলাক্রান্ত হইয়া, সখীদিগকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন আমি তোমাদিগের সখীর বিষয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করিতে বাঞ্ছা করি। তাঁহারা কহিলেন মহাশয়! আপনকার এ অভ্যর্থনা অনুগ্রহবিশেষ; আপনি অসস্কুচিত চিত্তে জিজ্ঞাসা করুন। রাজা কহিলেন মহর্ষি কণ্ব জন্মাবচ্ছিন্নে দারপরিগ্রহ করেন নাই। তিনি কৌমারব্রহ্মচারী, নিয়ত ধর্ম্ম চিন্তায় ও ব্রহ্মোপাসনায় একান্ত রত! অথচ তোমাদের সখী তাঁহার কন্যা, ইহা কি রূপে সম্ভবে, বুঝিতে পারিতেছি না।

 রাজার এইরূপ অভ্যর্থনা শুনিয়া অনসূয়া কহিলেন মহাশয়! শ্রবণ করুন; শুনিয়া থাকিবেন বিশ্বামিত্র নামে এক অতিপ্রভাবশালী রাজর্ষি ছিলেন। তিনি কোন সময়ে