এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
শকুন্তলা
পাই। অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা প্রস্থান কালে কহিলেন মহাশয়! যেন পুনরায় আমরা আপনকার দর্শন পাই; আপনকার সমুচিত অতিথিসৎকার করা হয় নাই এ জন্য আমরা অত্যন্ত লজ্জিত হইতেছি। রাজা, কহিলেন না, তোমাদের দর্শনেই আমার যথেষ্ট সৎকার লাভ হইয়াছে।
অনন্তর সকলে প্রস্থান করিলেন। শকুন্তলা, দুই চারি পদ গমন করিয়া, ছল ক্রমে কহিলেন অনসূয়ে! কুশাগ্র দ্বারা আমার পদতল ক্ষত হইল, আমি চলিতে পারি না। আর আমার বল্কল কুরুবকশাখায় লাগিয়া গেল, কিঞ্চিৎ অপেক্ষা কর ছাড়াইয়া লই। এই বলিয়া, বল্কল মোচনচ্ছলে বিলম্ব করিয়া, সতৃষ্ণ নয়নে রাজাকে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। রাজাও মনে মনে কহিতে লাগিলেন শকুন্তলাকে দেখিয়া আর আমার নগর গমনে তাদৃশ অনুরাগ নাই। অতএব তপোবনের অনতিদূরে শিবির সন্নিবেশন করি। আমি আমার মনকে কোন মতেই শকুন্তলা হইতে নিবৃত্ত করিতে পারিতেছি না।