বিবেচনা করিয়া দেখুন না কেন। প্রথমত, স্থূলতা ও জড়তা অপগত হইয়া, শরীর বিলক্ষণ পটু ও কর্ম্মক্ষম হয়; ভয় জন্মিলে, অথবা ক্রোধের উদয় হইলে, জন্তুগণের মনের গতি কিরূপ হয় তাহা বারংবার প্রত্যক্ষ হইতে থাকে; আর চলিত লক্ষ্যে শর ক্ষেপ করা অভ্যাস হইয়া আইসে; যদি চলিত লক্ষ্যে শর ক্ষেপ অব্যর্থ হয় ত তাহা অপেক্ষা ধনুর্ধরের পক্ষে অধিক শ্লাঘার বিষয় আর কি হইতে পারে। অতএব, মৃগয়াকে ব্যসন মধ্যে গণ্য করা অতি অবিবেচনার কর্ম্ম। বিবেচনা করুন, এরূপ আমোদ ও এরূপ উপকার আর কিসে আছে। মাধব্য, শুনিয়া কৃত্রিম কোপ প্রকাশ করিয়া কহিলেন অরে নরাধম! ক্ষান্ত হ, আর তোর প্রবৃত্তি জন্মাইতে হইবেক না; ইনি আজি আপন প্রকৃতি প্রাপ্ত হইয়াছেন। আমি দেখিতেছি তুই, বনে বনে ভ্রমণ করিয়া, এক দিন নরনাসিকালোলুপ ভল্লুকের মুখে পড়িবি।
উভয়ের এই রূপ বিবাদারম্ভ দেখিয়া রাজা সেনাপতিকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন দেখ! আমরা আশ্রমসমীপে আছি; এই নিমিত্ত তোমার মতে সম্মত হইতে পারিলাম না। অদ্য মহিষেরা,নিপানে অবগাহন করিয়া, নিরুদ্বেগে জলক্রীড়া করুক; হরিণগণ, তরুচ্ছায়ায় দলবদ্ধ