ঋষিকুমারেরা সাতিশয় আহ্লাদিত হইয়া কহিলেন মহারাজ! না হইবে কেন, আপনি যে বংশে জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন আপনার এই ব্যবহার তাহার উপযুক্তই বটে। বিপাকে অভয়দান পুরুবংশীয়দিগের কুলব্রত।
এই বলিয়া আশীর্ব্বাদ করিয়া ঋষিকুমারেরা প্রস্থান করিলে পর, রাজা মাধব্যকে জিজ্ঞাসা করিলেন বয়স্য! যদি তোমার শকুন্তলাদর্শনে কৌতূহল থাকে আমার সমভিব্যাহারে চল। মাধব্য কহিলেন তোমার মুখে তাহার বর্ণনা শুনিয়া তাহাকে দেখিতে অত্যন্ত অভিলাষ ছিল বটে; কিন্তু এক্ষণে নিশাচরের নাম শুনিয়া সে অভিলাষ একবারেই গিয়াছে। রাজা শুনিয়া ঈষৎ হাস্য করিয়া কহিলেন ভয় কি আমার নিকটে থাকিবে। মাধব্য কহিলেন তবে আর নিশাচরে আমার কি করিবেক। এই রূপ কথোপকথন হইতেছে; এমত সময়ে দ্বারপাল আসিয়া কহিল মহারাজ রথ প্রস্তুত, আরোহণ করিলেই হয়। কিন্তু বৃদ্ধ মহিষীর বার্ত্তা লইয়া করভক এই মাত্র রাজধানী হইতে উপস্থিত হইল। রাজা কহিলেন অবিলম্বে উহাকে আমার নিকটে লইয়া আইস। অনন্তর করভক রাজসমীপে আসিয়া নিবেদন করিল মহারাজ! বৃদ্ধ দেবী আজ্ঞা করিয়াছেন আগামী চতুর্থ দিবসে তাঁহার এক ব্রত