পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
শকুন্তলা

গমনের অনুমতি করিবেন তখন আমার কি দশা হইবেক। কি রূপে তাপিত প্রাণ শীতল করিব। সে যাহা হউক, এখন কোথায় গেলে শকুন্তলাকে দেখিতে পাই। বোধ করি শকুন্তলা মালিনীনদীর তীরবর্ত্তী সুশীতল লতামণ্ডপে আতপকাল অতিপাত করিতেছেন; অতএব সেই খানেই যাই, প্রিয়াকে দেখিতে পাইব। এই বলিয়াই একাকী গ্রীষ্মকালের মধ্যাহ্ন সময়েই সেই লতামণ্ডপের উদ্দেশে প্রস্থান করিলেন।

 এ দিকে, শকুন্তলার, রাজদর্শনদিবসাবধি, ক্রমে ক্রমে পূর্ব্বরাগসম্ভব সমস্ত স্মরদশার আবির্ভাব হইতে লাগিল। ফলতঃ, তাঁহার ও রাজার অবস্থার কোন অংশে কোন প্রভেদ ছিল না। সে দিবস শকুন্তলা সাতিশয় অসুস্থ হওয়াতে, অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা তাহাকে মালিনীতীরবর্ত্তী নিকুঞ্জবনে লইয়া গেলেন এবং তন্মধ্যবর্ত্তী সুশীতল শিলাতলে নব পল্লব ও জলার্দ্র পদ্ম পত্র প্রভৃতি দ্বারা শয্যা প্রস্তুত করিয়া তাহাতে শয়ন করাইয়া অশেষ প্রকারে শুশ্রুষা করিতে লাগিলেন।

 রাজা, ক্রমে ক্রমে সেই নিকুঞ্জ বনের সন্নিহিত হইয়া, চরণ চিহ্ন প্রভৃতি নানা লক্ষণ দ্বারা বুঝিতে পারিলেন শকুন্তলা তথায় আছেন। অনন্তর কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইয়া লতার