পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
৩৭

অন্তরাল হইতে শকুন্তলাকে অবলোকন করিয়া যৎপরোনাস্তি প্রীত হইয়া, কহিতে লাগিলেন আঃ! আমার নয়ন যুগল শীতল হইল প্রাণপ্রিয়াকে দেখিলাম। অনন্তর, ইহারা তিন সখীতে মিলিয়া কথোপকথন করিতেছে, লতাবলয়ে ব্যবহিত হইয়া কিয়ৎক্ষণ অবলোকন করি, এই বলিয়া উৎসুক মনে ও সতৃষ্ণ নয়নে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন।

 এখানে, শকুন্তলার শরীরতাপ সাতিশয় প্রবল হওয়াতে, অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা, সুশীতল জলার্দ্র নলিনী দল লইয়া কিয়ৎক্ষণ বাযু সঞ্চালন করিয়া, জিজ্ঞাসা করিলেন কেমন নলিনীদলবাযু তোমার সুখজনক বোধ হইতেছে? শকুন্তলা কহিলেন সখি! তোমরা কি বাতাস করিতেছ? তাহারা উভয়ে শুনিয়া সাতিশয় বিষন্ন হইয়া পরস্পর মুখাবলোকন করিতে লাগিলেন। বাস্তবিক, তৎকালে শকুন্তলা দুষ্মন্তচিন্তায় একান্ত মগ্ন হইয়া একবারে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হইয়াছিলেন। শুনিয়া ও শকুন্তলার অবস্থা দেখিয়া মনে মনে বিবেচনা করিতে লাগিলেন ইহাকে অত্যন্ত অসুস্থশরীর দেখিতেছি; কিন্তু কি কারণে অসুস্থ হইয়াছে? কি গ্রীষ্ম দোষেই ইহার এরূপ অসুখ, কি যে কারণে আমার এই