পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
৪১

নতুবা আমাকে মনে রাখিও। প্রিয়ংবদা, শুনিয়া সাতিশয় শঙ্কিত হইয়া, শকুন্তলার অগোচরে অনসূয়াকে কহিলেন সখি! আর ইহাকে সান্ত্বনা করিয়া ক্ষান্ত রাখিবার সময় নাই। আর কালাতিপাত করা অকর্ত্তব্য। তখন অনসূয়া কহিলেন সখি! যাহাতে অবিলম্বে শকুন্তলার মনোরথ সম্পন্ন হয় এমন কি উপায় হয় বল। প্রিয়ংবদা কহিলেন সখি! অবিলম্বে শকুন্তলার মনোরথ সম্পন্ন হওয়া দুষ্কর নহে। তুমি কি দেখ নাই, সেই রাজর্ষি, শকুন্তলাকে দেখিয়া অবধি, দিন দিন দুর্ব্বল ও কৃশ হইতেছেন।

 রাজা শুনিয়া আত্মশরীরে দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন যথার্থই এরূপ হইয়াছি বটে। নিরন্তর অন্তরতাপে তাপিত হইয়া আমার শরীর বিবর্ণ ও মলিন হইয়া গিয়াছে; এবং দুর্ব্বল ও কৃশও যৎপরোনাস্তি হইয়াছি।

 প্রিয়ংবদা কহিলেন অনসূয়ে! ইহার মদনলেখন করা যাউক। আমি পুষ্পের মধ্যগত করিয়া দেবসেবা ব্যপদেশে সেই রাজর্ষির হস্তে দিয়া আসিব। অনসূয়া কহিলেন সখি! এ অতি উত্তম পরামর্শ; দেখ, শকুন্তলাই বা কি বলে। শকুন্তলা কহিলেন সখি! আমাকে আর কি জিজ্ঞাসা করিবে; তোমাদের যা ভাল বোধ হয় তাই