কর। তখন প্রিয়ংবদা কহিলেন তবে আর বিলম্বে কাজ নাই; মনোমত এক পত্রিকা রচনা কর। শকুন্তলা কহিলেন সখি! পত্রিকা রচনা করিতেছি; কিন্তু পাছে তিনি অবজ্ঞা করেন এই ভয়ে আমার হৃদয় কম্পিত হইতেছে।
রাজা শকুন্তলার আশঙ্কা শুনিয়া ঈষৎ হাস্য করিয়া কহিতে লাগিলেন সুন্দরি! তুমি যাহার অবজ্ঞা ভয়ে ভীত হইতেছ সে এই তোমার সমাগমের নিমিত্ত একান্ত উৎসুক হইয়া রহিয়াছে; তুমি কি জান না, রত্ন কাহাকেও অন্বেষণ করে না, রত্নেরই সকলে অন্বেষণ করিয়া থাকে। অনসূয়া ও প্রিয়ংবদাও শকুন্তলার আশঙ্কা শুনিয়া কহিলেন অয়ি আত্মগুণাবমানিনি! কোন ব্যক্তি শরৎকালীন জ্যোৎস্নাকে আতপত্র দ্বারা নিবারণ করিয়া থাকে। শকুন্তলা ঈষৎ হাস্য করিয়া পত্রিকা রচনায় প্রবৃত্ত হইলেন। পরে, রচনা প্রস্তুত হইলে, কহিলেন সখি! আমি রচনা স্থির করিয়াছি; কিন্তু লিখন সামগ্রী কিছুই নাই। তখন প্রিয়ংবদা কহিলেন কেন এই পদ্ম পত্রে লিখ।
লিখন সমাপন করিয়া শকুন্তলা সখীদিগকে কহিলেন ভাল, শুন দেখি সঙ্গত হইয়াছে কি না। তাহারা শুনিতে লাগিলেন; শকুন্তলা পড়িতে আরম্ভ করিলেন “হে