নিকটে যাই; তুমি জান না, আমি আপনার অধীন নই। রাজা লজ্জিত ও সঙ্কুচিত হইয়া শকুন্তলার হাত ছাড়িয়া দিলেন। শকুন্তলা কহিলেন মহারাজ! আপনি লজ্জিত হইতেছেন কেন,আমি আপনাকে কিছু বলি নাই; দৈবের তিরস্কার করিতেছি। রাজা কহিলেন দৈবকে তিরস্কার কেন কর, দৈবের অপরাধ কি। শকুন্তলা কহিলেন দৈবের তিরস্কার শত বার করিব; সে আমাকে পরের অধীন করিয়া পরের গুণে লোভিত করে কেন।
এই বলিয়া শকুন্তলা চলিয়া যাইবার উপক্রম করিলেন। রাজা পুনর্ব্বার শকুন্তলার হস্তে ধরিলেন। শকুন্তলা কহিলেন মহারাজ কি কর, ইতস্ততঃ ঋষিরা ভ্রমণ করিতেছেন। তখন রাজা কহিলেন সুন্দরি! তুমি গুরুজনের ভয় করিতেছ কেন। ভগবান্ কণ্ব কখনই রুষ্ট বা অসন্তুষ্ট হইবেন না। শত শত ঋষিকন্যারা গান্ধর্ব্ব বিধান দ্বারা আপনাদিগকে অনুরূপ পাত্রের হস্তগত করিয়াছেন এবং তাহাদের গুরুজনেরাও পরিশেষে সবিশেষ অবগত হইয়া অনুমোদন করিয়াছেন। শকুন্তলা, মহারাজ! এই সম্ভাষণমাত্রপরিচিত ব্যক্তিকে ভুলিবেন এই বলিয়া, রাজার হাত ছাড়াইয়া চলিয়া গেলেন। রাজা কহিলেন সুন্দরি! তুমি আমার সম্মুখ হইতে