পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
৪৯

শব্দে সম্ভাষণ করিয়া থাকে। বুঝি আমার মনোরথ সম্পন্ন হইল। অনন্তর শকুন্তলাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন সুন্দর! মৃণালবলয়ের সন্ধি সম্যক্ সংশ্লিষ্ট হইতেছে না; যদি তোমার মত হয়, অন্য প্রকারে সঙ্টন করিয়া পরই। শকুন্তলা ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন তোমার যা অভিরুচি।

 অনন্তর রাজা, নানা ছলে বিলম্ব করিয়া, শকুন্তলার হন্তে মৃণালবলয় পরাইয়া দিয়া কহিলেন সুন্দরি! দেখ দেখ, কেমন সুন্দর হইয়াছে। শকুন্তলা কহিলেন দেখিব কি, কর্ণোৎপলরেণ আমার নয়নে নিপতিত হইয়াছে, দেখিতে পাই না। রাজা হাস্যমুখে কহিলেন যদি তোমার মত হয় ফুৎকার দ্বারা পরিষ্কার করিয়া দি। শকুন্তলা কহিলেন তাহা হইলে অত্যন্ত উপকৃত হই বটে; কিন্তু তোমাকে অত দূর বিশ্বাস হয় না। রাজা কহিলেন সুন্দরি। না না না; নূতন ভৃত্য কখন প্রভুর আদেশের অতিরিক্ত করিতে পারেন। শকুন্তলা কহিলেন ঐ অতি ভক্তিই চোরের লক্ষণ। অনন্তর রাজা শকুস্তলার চিবুকে ও মস্তকে হস্ত প্রদান করিয়া তাহার মুখ কমল উত্তোলন করিলেন। শকুন্তলা শঙ্কিতা ও কম্পিতা হইয়া রাজাকে বারংবার নিষেধ করিতে লাগিলেন। রাজা