পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
শকুন্তলা

হইলে তিনি বিনা আয়াসে কৃতকার্য্য হইলেন। সুতরাং ইহাতে তাঁহার রোষ বা অসন্তোষের বিষয় কি। উভয়ে এইরূপ কথোপকথন করিতে করিতে আশ্রমকুটীরের কিঞ্চিৎ দূরে পুষ্প চয়ন করিতে লাগিলেন।

 এ দিকে শকুন্তলা রাজার চিন্তায় একান্ত নিমগ্ন হইয়া একাকিনী কুটীরে উপবিষ্টা আছেন। এমত সময়ে দুর্ব্বাসা ঋষি আসিয়া শকুন্তলাকে উদ্দেশ করিয়া কহিলেন আমি অতিথি। শকুন্তলা এককালে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হইয়া ছিলেন সুতরাং দুর্বাসার কথা শুনিতে পাইলেন না। দুর্ব্বাসা অবজ্ঞা দর্শনে রোষপরবশ হইয়া কহিলেন আঃ পাপীয়সি - তুমি অতিথির অপমান করিলে। তুমি যাহার চিন্তায় নিমগ্ন হইয়া আমাকে অবজ্ঞা করিলে; আমি এই শাপ দিতেছি; তাহাকে স্মরণ করাইয়া দিলেও সে তোমাকে স্মরণ করিবেক না।

 প্রিয়ংবদা “শুনিতে পাইয়া ব্যাকুল হইয়া কহিতে লাগিলেন হয়! হায়! কি সর্ব্বনাশ হইল; শূন্য হৃদয়া শকুন্তলা কোন পূজনীয় ব্যক্তির নিকট অপরাধিনী হইল। এই বলিয়া সেই দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া কহিতে লাগিলেন সখি! যে সে নয়, ইনি দুর্বাসা; ইঁহার কথায় কথায় কোপ; ঐ দেখ, শাপ দিয়া রোষভরে সত্বরে