পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
শকুন্তলা

অঙ্গুরীয় পরাইয়া দিয়া গিয়াছেন। অতএব শকুন্তলার হস্তেই শকুন্তলার শাপ মোচনের উপায় রহিয়াছে। রাজা যদিই বিস্মৃত হন, তাহার সেই স্বনামাঙ্কিত অঙ্গুরীয় দেখাইলেই স্মরণ হইবে। এইৰূপ কথোপকথন করিতে করিতে কুটীরাভিমুখে চলিলেন।

 কিয়ৎক্ষণ পরে উভয়ে কুটীর দ্বারে উপস্থিত হইয়। দেখিলেন শকুন্তলা করতলে কপোল বিন্যাস করিয়া স্পন্দহীনা মুদ্রিতনয়না চিত্রার্পিতার ন্যায় উপবিষ্ট আছেন। তখন প্রিয়ংবদা কহিলেন অনসূয়ে! দেখ দেখ, শকুন্তল। পতিচিন্তায় মগ্ন হইয়া একবারে বাহ্যজ্ঞানশুন্য হইয়া রহিয়াছে; ও কি অতিথি অভ্যাগতের তত্ত্বাবধান করিতে পারে। অনসূয়া কহিলেন সখি! এই বৃত্তান্ত আমাদের দুজনের মনে মনেই থাকুক। কোন মতেই কর্ণান্তর করা হইবেক না; শকুন্তলা শুনিলে প্রাণে বাচিবেক না। প্রিয়ংবদা কহিলেন সখি! তুমি কি পাগল হয়েছ; এ কথাও কি শকুন্তলাকে শুনাতে হয়; কোন ব্যক্তি উষ্ণোদকে নবমালিকা সেচন করে।

 কিয়দ্দিন পরে মহর্ষি কণ্ব সোমতীর্থ হইতে প্রত্যাগমন করিলেন। এক দিবস তিনি অগ্নিগুহে প্রবিষ্ট হইয়া হোমকার্য্য সম্পাদন করিতেছেন, এমত সময়ে দৈববাণী হইল