লেন। ঋষির অভীষ্টসিদ্ধিরন্তু বলিয়া পুনর্ব্বার আশীর্ব্বাদ প্রয়োগ করলেন। অনন্তর সকলে উপবেশন করিলে রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন কেমন, মুনিদিগের নির্ব্বিঘ্নে তপস্যানুষ্ঠান হইতেছে। ঋষিরা কহিলেন মহারাজ! আপনি রক্ষাকর্ত্তা থাকিতে ধর্ম্ম ক্রিয়ার বিঘ্ন সম্ভাবনা কোথায়; সূর্য্যদেবের উদয় হইলে কি অন্ধকারের আবির্ভাব হইতে পারে?। রাজা শুনিয়া কৃতার্থম্মন্য হইয়া কহিলেন অদ্য আমার রাজশব্দ সার্থক হইল। পরে জিজ্ঞাসা করিলেন ভগবান কণ্বের কুশল? ঋষিরা কহিলেন হা মহারাজ! মহর্ষি সর্ব্বাংশেই কুশলী।
এই ৰূপে প্রথমসমাগমোচিত শিষ্টাচারপরম্পরা পরিসমাপ্ত হইলে, শাঙ্গ রব কহিলেন আমাদিগের গুরু মহর্ষি করে যে সন্দেশ লইয়া আসিয়াছি নিবেদন করি শ্রবণ করুন। মহর্ষি কহিয়াছেন “আপনি আমার অজ্ঞাতসারে আমার কন্যার পাণিগ্রহণ করিয়াছেন। আমি সবিশেষ সমস্ত অবগত হইয়। তদ্বিষয়ে সম্পূর্ণ সম্মতি প্রদান করিয়াছি। আপনি আমার শকুন্তলার সর্বাংশে যোগ্য পাত্র। এক্ষণে আপনকার সহধর্ম্মিণী অন্তঃসত্ত্বা হইয়াছেন গ্রহণ করুন”। গোতমীও কহিলেন আর্য্য। আমি কিছু বলিতে চাই কিন্তু বলিবার পথ নাই। শকুন্তলা