জানিয়া বন্ধুতা করিলে, সেই বন্ধুতা পরিশেষে শত্রুতাতে পর্য্যবসিত হয়। শার্ঙ্গরবের এই তিরস্কারবাক্য শ্রবণ করিয়া রাজা কহিলেন কেন আপনি স্ত্রীলোকের কথায় বিশ্বাস করিয়া আমার উপর এরূপ দোষারোপ করিতেছেন। শার্ঙ্গরব কিঞ্চিৎ কোপাবিষ্ট হইয়া কহিলেন যে ব্যক্তি জন্মাবচ্ছিন্নে চাতুরী শিখে নাই তাহার কথা অপ্রমাণ; আর যাঁহারা পরপ্রতারণাকে বিদ্যা বলিয়া শিক্ষা করেন তাঁহাদের কথাই প্রমাণ হইল। তখন রাজা শার্ঙ্গরবকে কহিলেন মহাশয়! আপনি বড় যথার্থবাদী। আমি স্বীকার করিলাম প্রতারণাই আমাদের বিদ্যা ও ব্যবসায়। কিন্তু আপনাকে জিজ্ঞাসা করি, ইঁহাকে প্রতারণা করিয়া আমার কি লাভ হইবেক। শার্ঙ্গরব কোপে কম্পিত কলেবর হইয়া কহিলেন ‘নিপাত’। রাজা কহিলেন পুরুবংশীয়েরা নিপাত লাভ করে এ কথা অশ্রদ্ধেয়।
এইরূপে উভয়ের বিবাদারম্ভ দেখিয়া, শারদ্বত কহিলেন শার্ঙ্গরব! আর উত্তরোত্তর বাক্ছলে প্রয়োজন কি? আমরা গুরুর নিয়োেগ অনুষ্ঠান করিয়াছি; এক্ষণে ফিরিয়া যাই চল। এই বলিয়া রাজাকে কহিলেন মহারাজ। ইনি তোমার পত্নী, ইচ্ছা হয় গ্রহণ কর, ইচ্ছা হয় ত্যাগ কর; পত্নীর উপর পরিণেতার সর্ব্বতোমুখী প্রভুতা