ইহা শুনিয়া অঙ্গুরীয়ে দৃষ্টিপাত করিয়া রাজা উহাকে সচেতন বোধে সম্বোধন করিয়। কহিলেন অঙ্গুরীয়! তুমিও আমার মতো হতভাগা,নতুবা কি নিমিত্ত, প্রিয়ার অঙ্গুলীতে স্থান পাইয়া, পুনর্ব্বার সেই দুর্ল্ভ স্থান হইতে ভ্রষ্ট হইলে। মাধব্য কহিলেন বয়স্য! তুমি কি উপলক্ষে তাহার অঙ্গুলীতে অঙ্গুরীয় পরাইয়া দিয়াছিল। রাজা কহিলেন রাজধানী প্রতিগমন কালে, প্রিয়া অশ্রুপূর্ণ নয়নে আমার হস্ত ধরিয়া কহিলেন আর্য্যপুত্র! কতদিনে আমাকে নিকটে লইয়া যাইবে। তখন আমি এই অঙ্গুরীয় তাহার কোমল অঙ্গলীতে পরাইয়া দিয়া কহিলাম প্রিয়ে! তুমি প্রতি দিন আমার নামের এক একটী অক্ষর গণিবে গণনা সমাপ্ত না হইতে হইতেই আমার লোক আসিয়া তোমাকে লইয়া যাইবে। প্রিয়ার নিকট সরল হৃদয়ে এই প্রতিজ্ঞা করিয়া আসিয়াছিলাম। কিন্তু মোহান্ধ হইয়া একবারেই বিস্মৃত হইয়া যাই।
তখন মাধব্য কহিলেন ভাল বয়স্য! এ অঙ্গুরীয় কেমন করিয়া রোহিত মৎস্যর উদরে প্রবিষ্ট হইল। রাজা কহিলেন শুনিয়াছি শুচীতীর্থে স্নান করিবার সময় প্রিয়ার অঞ্চলপ্রান্ত হইতে সলিলে ভ্রষ্ট হইয়াছিল। মাধব্য
১২