পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯০
শকুন্তলা

কহিলেন হাঁ সম্ভব বটে; সলিলে মগ্ন হইলে রোহিত মৎস্যে গ্রাস করিয়াছিল। রাজা অঙ্গুরীয়ে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া কহিলেন আমি এই অঙ্গুরীয়কে যথোচিত তিরস্কার করিব। এই বলিয়া কহিলেন অরে অঙ্গুরীয়! প্রিয়ার কোমল করপল্লব পরিত্যাগ করিয়া জলে মগ্ন হইয়া তোমার কি লাভ হইল বল। অথবা তোমাকে তিরস্কার করা অন্যায়; কারণ অচেতন ব্যক্তি কখন গুণ গ্রহণ করিতে পারে না। নতুবা আমিই কি নিমিত্ত প্রিয়াকে পরিত্যাগ করিলাম। এই বলিয়া অশ্রুপূর্ণ নয়নে শকুন্তলাকে উদ্দেশ করিয়া কহিতে লাগিলেন প্রিয়ে! আমি তোমাকে অকারণে পরিত্যাগ করিয়াছি। অনুতাপানলে আমার হৃদয় দগ্ধ হইয়া যাইতেছে। দর্শন দিয়া প্রাণ রক্ষা কর।

 রাজা শোকাকুল হইয়া এইরূপ বিলাপ করিতেছেন এমত সময়ে চতুরিকা নাম্নী এক পরিচারিকা এক চিত্রফলক আনয়ন করিল। রাজা চিত্তবিনোদনার্থে ঐ চিত্রফলকে শকুন্তলার প্রতিমূর্ত্তি চিত্রিত করিয়াছিলেন। মাধব্য দেখিয়া বিস্ময়োৎফুল্ল লোচনে কহিলেন বয়স্য! তুমি চিত্রফলকে কি অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করিয়াছ। দেখিয়া কোন ক্রমেই চিত্র বোধ হইতেছে না। আহা মরি,