পাতা:শক্তিশেল - প্রথম খণ্ড.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন। পণ্ডিতবর শ্যামাচরণ সরকার মহাশয় কহিয়াছেন “ বাঙ্গলা ভাষায় যে কোন মনের তাৰ যথানুরূপ প্রকাশ করা যাইতে পারে এবং যে কোন শাস্ত্রের যে কোন পদ যথানুরূপ অনুবাদ করিতে পারা যায় ” । তিনি আরও কহিয়াছেন “ বাঙ্গলার ন্যায় রচনামুগমতা ইয়ুরোপীয় অতি অলপ ভাষাতেই আছে। ইহা পাদরী কেরী সাহেব প্রভৃতি মহাশয়গণকেও স্বীকার করিতে হইয়াছে ৷ ” সরকার মহাশয় সংক্ষেপে । সমুদায় কথাই বলিয়াছেন । আমরা এ স্থলে এইমাত্র বলিতে চাহি যে, বাঙ্গল একপ্রকার স্বয়ংপ্রস্তুত বা স্বয়ংপূর্ণ ভাষা ; ইহার উন্নতির নিমিত্ত ব্যক্তিবিশেষের বিশেষ ক্লেশ স্বীকার করিতে হয় নাই, অথচ ছুই চারি দিম অভ্যাস করিয়াই আমাদের ইংরাজীশিক্ষিত লব্যেরাও ইহাভে উত্তমরূপ লিখিতে শিথিতেছেন । মহাত্মা রামমোহন রায় বহু কাল পূৰ্ব্বে গদ্যে যাহ। কিছু লিথিয় গিয়াছেন, অধুনাতন বিশুদ্ধ গদ্যের সহিত তাহার তাদৃশ বৈলক্ষণ নাই। বাঙ্গল ভাষার বয়সও ৪ । ৫ শত বৎসরের অধিক বোধ হয় না । ইহাকে একপ্রকার প্রাকৃত ভাষ বলিলেও বলা যায় । তবে মুসলমানদিগের ভাষা ইহাকে প্রাক্ত , ভাষা হইতে কিয়ৎ পরিমাণে অপভ্রষ্ট করিয়াছে এইমাত্র বিশেষ । এক্ষণে জিজ্ঞাস্য হইতে পারে, বাঙ্গল ভাষা এরূপ স্বয়ংপূর্ণ : হইল কেম? আমরা এইমাত্র বলিতে পারি, যে সুসম্পর্ণ সংস্থত ভাষার প্রসব বলিয়াই ইহা এইরূপ হইয়াছে । বাস্তরিক, রামমোহন ।