পাতা:শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী গ্রন্থ.pdf/১৭৯

ጏ&b” শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী । ১১ সর্গ। সেই স্থানে অতি সুন্দর শোভনশালী প্রাসাদ কম্পন করিয়া তন্মধ্যে শীরদাদেবীকে সংস্থাপন করিয়া সশিষ্য অচ্চনা করিলেন। অদ্যপি শৃঙ্গর পুরে সংস্থিত। শারদ সমাখ্যান বহন করিতেছেন ; পূজকগণের পূজা গ্রহণ করিয়া থাকেন। যতীশ্বরের কোন শিষ্য গিরিনামধেয় সুধী, বীতরাগ, নিঃসঙ্গ, গুরুভক্ত, এবং গুরুপ্রিয় ছিলেন। দন্তকাষ্ঠাদি দ্বারা অতি সাদরে গুরুশুশ্রষাতে নিরত থাকিতেন । এমন কি গুরু গমন করিলে গমন করিতেন, স্থিত হইলে স্থিত হইতেন গুরুর অনুজ্ঞাভিন্ন বাক্য কহিতেন না। গুরু-পাদপদ্মে একান্ত রত ও অবিচলিতচিত্ত এবং নিষ্ঠাযুক্ত ছিলেন। এক সময় পদ্মপাদাদি শিষ্যগণ ভাষ্য পাঠের প্রারম্ভে প্রথম শান্তি পাঠে সমুদ্যত হইলে ভাষ্যকার কছিলেন, কিঞ্চিং বিলম্ব কর, ভক্তিমান গিরি ক্ষণমধ্যে আসিতেছে। গুরুর এই বাক্য শ্রবণ করিয়া পক্ষপাদ কছিলেন, গুরে, গম্ভীর ভাষার্থে মন্দবুদ্ধির কি প্রতীক্ষা করিতেছেন। শঙ্কর যতিবর পদ্মপাদের বাক্য শ্রুতিগোচর হইলে চিন্তা করিলেন, আহে, ইহার মহাগৰ্ব্ব নষ্ট করা আমার ধৰ্ম্ম । ইহা বিবেচনা করিয়া গিরিশিষ্যের প্রতি চতুর্দশ বিদ্যা নিয়োজিত করিলেন। তখন গিরি শ্ৰীগুরুর করুণ প্রভাবে সমস্ত বিদ্যাতে অধিগত হইয়া অতি সন্তুষ্টমনে গুরুভক্তি-মুদীন্বিত তোটকছন্দে স্তুতি করিতে করিতে সমাগত হইলেন। অদ্যপি তাহার প্রণীত ব্ৰহ্মাত্মৈক্য-পরায়ণ রচনা অবনীমণ্ডলে প্রসিদ্ধ ও প্রথিত আছে। তৎকালে পদ্মপাদাদি