পাতা:শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী গ্রন্থ.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጏኅe শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী। ১৩ সর্গ। সে সঙ্কল্প নিৰ্বন্তি নিমিত্ত শ্ৰমুখের আজ্ঞ হয়, তবে তীর্থযাত্রা হইতে নিবৃত্ত হইয়া সত্বর ঐগুরুচরণ-সন্নিধানে সমাগত হই । শঙ্করাচার্য পদ্মপাদের বিজ্ঞপ্তি শ্রবণ করিয়া কছিলেন, পক্ষপাদ, তুমি উৎকৃষ্ট অনুষ্ঠান করিয়াছ বটে, কিন্তু যাত্রার বিক্ষেপ কারিত্ব বিচার কর নাই। প্রাতে উথান করিয়া গমন, মধ্যাহ্লে ক্ষুধাদির পপীড়ন, কায়িক শ্রম জন্য বস্তুর অনভ্যাস, সমাধির অবসর কোথা হইবে। তবে, সে যাত্রামধ্যে সৎসমাগমের সম্ভবত আছে, গুরু ক্ষেত্ৰ ভঁাহার চরণ যুগল সলিল, ও উপদেশজনিত দৃষ্টি দেবদর্শন উক্ত হইয়াছে । সনন্দন গুরুবাক্য শ্রবণ করিয়া পুনর্বার নিবেদন করিলেন, গুরো, প্রভু যাহ আজ্ঞা করিলেন, তাহ সত্য কিন্তু তীর্থষাত্রা বিনা আমার চিত্তের যে অতি তীব্র উৎকণ্ঠা, তাহা শাম্য হয় না। যাহার হৃৎপদ্মে শ্ৰীগুরু বিরাজ মান তাহার সর্বদা গুরুদর্শন হয়, মনুষ্য দৈবযোগে সুখদুঃখ ভোগ করে, ব্রহ্মানন্দে নিমগ্ন সজ্জন বৃন্দের সর্বদাই সমাধি হইয়া থাকে। ভাষ্যকার শিষ্যের এরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া কহিলেন, সনন্দন, তোমার এ বিষয়ে যে আগ্রহ, তাহা আমি নিবারণ করি না, বক্তব্য এই যে সজ্জন সঙ্গে গমন কৰ্ত্তব্য, যে হেতু উrহারা সুখপ্রদ হয়েন, নিজানন্দে নিমগ্ন সন্তগণ সমস্ত সন্তাপ নিরাস করেন। সনন্দন এপ্রকার গুরুবাক্য শ্রবণে লব্ধানুজ্ঞ জ্ঞানে শ্ৰীগুরুচরণে বিধিবৎ পণাম করিয়া সশিষ্য তীর্থযাত্রাথ