পাতা:শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী গ্রন্থ.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$bሥ: শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী । ১৪ সৰ্গ । এবং প্রসন্ন হইল। যখন মানবগণের অন্তঃকরণে মৎসরতাদি অন্যের অনিষ্ট সাধনে আপন ইষ্টসিদ্ধির অভিলাষ রূপ কুরক্তি প্রবল। হয়, তখন বুদ্ধি তমোতে আবৃত হইয়া বিবেকশক্তি হীন হইয় পড়ে, অন্যের অনিষ্ট সাধনে আপন অশুভ প্রচ্ছন্ন থাকে, তাহ অনুভব করিতে অক্ষম হয়। জনশ্রুতি আছে, “আপন নাসা ছেদন করিয়া অন্যের যাত্রা ভঙ্গ এবিষয়ে অবিশেষ উপপন্ন(১) হয়, তাহার সংশয় নাই। এখানে পদ্মপাদ হঠাৎ মনের চাঞ্চল্য উদয়ে গমনে সত্বর হইয়া রমানাথ চরিতাশ্রমে রামেশ্বরে উপস্থিত হইলেন যে স্থানে রামচন্দ্র স্বানুজ সহ অবনিতে ধনুঃশর স্থাপন করিয়া দর্ভে (২)পরি অবস্থিত ছিলেন, আর যে স্থানে পূর্বে রামচন্দ্রের অগস্তঋষির সহিত সম্বাদ হইয়াছিল, রঘুবংশধর যেখানে অবস্থিত হইয়া সাগরে সেতুবন্ধ করিয়াছিলেন, পদ্মপাদ সে স্থানে স্নানাদি ক্রিয়া সমাপনান্তে রামেশ্বরকে দর্শন অচ্চন করিয়া বৈদিকসুক্ত ও ঋষিপ্রোক্ত এবং পুরাণোক্ত স্তুতি পাঠকরিলেন, আর কহিলেন, যেস্থানে রাম রামেশ্বর সেতু তিনের সম্বন্ধ সেই পয়োনিধি পুন্যতর রাম ও রামনাথ এবং সেতুর মহিমা অদ্ভুত দর্শন মাত্র পাপিগণ সদ্য পবিত্র হয়, এস্থানে তিন বিদ্যমান রহিয়াছেন। পদ্মপাদ এপ্রকার বহুল মহত্ত্ব কীৰ্ত্তন করিলেন । এক ব্রাহ্মণ পদ্মপাদকে জিজ্ঞাসা করিলেন, সৰ্ব্বজ্ঞ যতে ! রোমেশ্বর এই বাক্যে কোন সমাস প্রতিপন্ন হয়, তাহ যথা ১ সাধিত ।