পাতা:শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী গ্রন্থ.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫ সৰ্গ । শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী । २०१ অপিচ প্রপঞ্চের সত্যত্ব যে বিরুদ্ধ তোমার স্বীকৃত হইয়াছে, তাহাতে তোমার ভ্রম ভিন্ন মাধক প্রমাণ দৃষ্টিগোচর হয় না। ভ্রমের আধারভ তা বিচিত্র শক্তিশালিনী জগৎজীব ঈশ্বরের ভেদজননী অবিদ্যা বিনা বৃথা ভেদাভেদ প্রলাপাদি কে স্বজন করে, ও শ্রীতি সকলের প্রসিদ্ধ মুখ্যার্থ পরিত্যাগ করিয়া অন্য রূপ কল্পনা করিতে অন্য কে সমর্থ। হয়। শ্রুতি অতোহন্যদাৰ্ত্ত” বাক্যে প্রপঞ্চ মিথ্যা কহেন, ও “নেহ নানাস্তি কিঞ্চন” এই নানাত্ব প্রতিষেধিনী ওশ্রীতি । এবং“সৰ্ব্বংখলিদংব্রহ্ম” ইত্যাদি অনেকবিধ শ্রীতিতে প্রপঞ্চ বাধ্য সমাদেশ স্পষ্ট রহিয়াছে, ইহা উদাহৃত হইল। গুণকল্পিত সপদগুদি বস্তুর তত্ত্ব জিজ্ঞাসা করিলে, আগু(১) জন কহেনসেপ নয় এ রজ্জ,তদ্রুপ কম্পিত প্রপঞ্চের তত্ত্ব কি, এ সংশয়ে বেদান্ত উত্তর দিতেছেন, সৰ্ব্ব ব্রহ্ম। অধিষ্ঠান হইতে অধ্যস্তের পৃথক সত্ত্ব নাই, ইহা বোধ করাইতে বেদ সৰ্ব্ব-ব্রহ্ম-বাণী’কহেন, নিগুৰ্ণ নিষ্কল ব্রহ্ম অখণ্ড একরস মুখরুপ কি প্রকারে অন্যরূপ মলিন জড় জগৎ আকার ३२tदन ! এক কালে এক বস্তু সগুণ নিগুৰ্ণ সাকার নিরাকার ইহা অবিদ্যা বিন সঙ্গত হয় না, অবিদ্যা শবল ব্রহ্ম জগৎজীব ঈশ্বরত্ব প্রাপ্ত হয়েন, ইহা লোকে প্রতীয়মান, শুদ্ধ বস্তুর নানাত্ব বাদী সকলে অঙ্গীকার করেন । অপিচ, প্রপঞ্চের সত্যত্ব সিদ্ধে মুক্তি স্থলভ হয়, কারণ ব্রহ্ম আপন প্রপঞ্চাকারত কদাচ পরিত্যাগ করেন না । মহিতৈষী।