পাতা:শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী গ্রন্থ.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२९ শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী । ৩ সৰ্গ । বিষণ্ণ মনে কছিলেন, এই সংসারে সেই সুকৃতি জনগণের জীবন ধন্য, যাহারা ভবাদৃশ ব্যক্তি বৃন্দকে সৰ্ব্বদা ভোজন দানে পরিতৃপ্ত করিয়া স্ত্ৰখী হন। আমরা ভাগ্যহীন, দৈব কর্তৃক বঞ্চিত। এই বাক্য কহিয়া আমলক ফল আনিয়া ভিক্ষা দিলেন । দীন-দয়াদ্র-ধী শঙ্কর করুণ-রস-গর্ভিণী এই বাণী শ্রবণে দয়াদ্র চিত্ত হইয়৷ তৎক্ষণাৎ পদ্মালয় কমলাকে স্তুতি করিলেন । হরিপ্রিয়া শঙ্করের স্তবে সন্তুষ্ট হইয়া অবিলম্বে তৎ প্রাঙ্গণে প্রাচুভূত হইলেন, এবং শঙ্করকে কছিলেন, বটাে ! তোমার মঙ্গল, বর গ্রহণ কর। তখন বটুর্বর লক্ষ্মীকে সমীপবৰ্ত্তিনী দর্শন করিয়া পুনর্বার স্তুতি করিতে লাগিলেন। কমলা অধিক সন্তুষ্ট হইয়া কছিলেন, তুমি যগ্নিমিত্ত স্তুতি করিতেছ তাহ অবিলম্বে গ্রহণ কর, আমি স্বয়ং প্রসন্ন৷ হইয়া প্রদান করিতেছি । তখন শঙ্কর, করুণা-রসাবিষ্ট-বুদ্ধি র বাক্য শ্রবণ করিয়া কছিলেন, দেবি ! যদি তুমি হইলে, তবে এই বিপ্ৰপত্নীর ভবনে প্রবিষ্ট হইয়। গৃহ ক্ষুবর্ণে পূর্ণ করিয়া স্থির হও । এই প্রকার বটুর্বর কর্তৃক লক্ষী নিয়োজিত হইয়া তঃক্ষণাৎ ব্রাহ্মণের গৃহ সুবর্ণে পূর্ণ করিয়া অন্তহিত৷ হইলেন । শঙ্করের কৃপা-দৃষ্টিতে ব্রাহ্মণ অত্যন্ত সমৃদ্ধিশালী ও প্রভূত ধনের অধীশ্বর হইয়া সুখে কাল যাপন করিতে লাগিলেন । ইহাতে বটুরের মুপাবনী সৎকীৰ্ত্তি লোকে প্রথিত হইয়৷ সজ্জন সমাজে শরদিন্দু-প্রভা তুল্য প্রকাশ পাইতে লাগিল, এবং তদবধি তাহার “ বেদ-মৰ্ম্ম-ভৰ্ত্তা” ' খ্যাতি লাভ হইল।