পাতা:শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী গ্রন্থ.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ সগ। শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী ২৫ করিতে লাগিলেন। ছাপুত্ৰ ! শরচ্চন্দ্ৰানন ! গুণের সাগর । বিধি-বিড়ম্বিত এ অভাগিনীর উদরে কেন আসিয়াছিলে ? হা বিধে ! এমত অমূল্য রত্ন প্রদান করিয়া দুঃখিনীকে বঞ্চন করিয়া তোমার কি লাভ হইল ? আমি পুত্রের মুখাবলোকন করিয়া পতি-শোক বিস্মত হইয়াছি। সে চন্দ্ৰানন না দেখিয়া, কি রূপে প্রাণ ধারণ করিব ? হা দেবদেব ভূতনাথ ! তুমি কৃপা করিয়া আমাকে গুণনিধি দিয়াছ, আবার কেন নির্দয় হইয়া আমাকে বঞ্চিত করিবে ? হে ধৰ্ম্মরাজ শমন ! পতিকে যেমন অকালে গ্রহণ করিয়াছ, আমাকেও সেইরূপ শীঘ্ৰ গ্ৰহণ কর। যেন পুত্রের মুখ দেখিতে দেখিতে অামার প্রাণ বাহির হয় । এ দারুণ শোকানল হইতে যেন রক্ষা পাই। মুনিবরের বজ্ৰ তুল্য বাণীতে আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছে। রে প্রাণ ! তুই এখনও কিরূপে রহিয়াছিস । হা পুত্ৰ ! তুমি কি ছল করিয়া আমার জঠরে আসিয়াছ ? আমার সন্তাপ বৃদ্ধি জন্য কি এত গুণে সম্পন্ন হুইয়াছ ? বৎস : অামি আর প্রাণ ধারণ করিতে পারি না । জননীর করুণাসঞ্চারিণী-বিলাপ শ্রবণে শঙ্করের চিত্ত কারুণ্য-রসাভিভূত হইল। তিনি তখন রোদনশীল জননীকে মধুর বাক্যে প্রবোধন করিতে লাগিলেন, অম্ব ! এত শোক-নিমগ্ন-চিত্ত হইতেছেন কেন ? শোক কখনই কর্তব্য নহে । শোকে ধৰ্ম্ম জ্ঞান বিনষ্ট হয় । শোক সকল অনিষ্টের হেতু ও অনর্থের মূল, এবং সমস্ত কুরুত্তির আকর। গতামু ব্যক্তির জন্য শোক * ও রোদন করা বৃথা, তাহাতে কোন ফলোদয় নাই, কেবল মনের কষ্ট ও শরীর নষ্ট হয় । আমি তোমার নিকট