পাতা:শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী গ্রন্থ.pdf/৬৫

88 শঙ্কর-বিজয়-জয়ন্তী । ৪ সগ 1 পূৰ্ব্বপক্ষে অফলত্ব হেতু ব্ৰহ্ম বিচাৰ্য্য নহেন। তাহা কি প্রকার ? এই আকাঙ্ক্ষাতে কহিতেছেন, যদি ব্রহ্ম সন্দিগ্ধ বা সপ্রয়োজন হয়েন, তবে অবশ্য-জিজ্ঞাস্য হইতে পারেন । , কিন্তু তাহাতে উক্ত উভয় কারণভাব, যেহেতু পরংব্রহ্ম সকলের স্বাত্মারূপ, “অহং” (আমি) ইহা আত্মরূপে মানব গণের সর্ববতোভাবে প্রসিদ্ধ আছে । “অহং” বা ‘‘নাহং|” অর্থাৎ আমি কি না, এমত সংশয় কাহারও দৃষ্ট হয় না । “অহং” (আমি) এই বাক্যে পরংব্রহ্মে প্রত্যয় প্রকাশ । অতএব লোকানুভবে ব্রহ্ম সন্দিগ্ধ নহেন । যে বস্তু সংশয়ের বিষয় নহে, তাছা জিজ্ঞাস্য হয় না। যেমত, স্ফীতালোক মধ্যস্থিত ঘট সমনস্ক ইন্দ্রিয় সন্নিকর্ষে কখন জিজ্ঞাস্য হয় না, দেখা যাইতেছে । তথা, পরংব্রহ্ম প্রকাশ জন্য জিজ্ঞাস্য নছেন । আর সপ্রয়োজন বস্তু জিজ্ঞাস্য হয়, তদভাবে জিজ্ঞাস্য হয় না। ব্রহ্ম তাহ, নহেন, কারণ, ভোগাদিতে দীনতা দৃষ্ট হইতেছে। ব্রহ্ম সুখরূপ বা দুঃখাভাব হইলে লোকের ভোগাদিতে দীনতার সম্ভব ছিল না । “অহমস্মি” (আমি) এই জ্ঞান সম্ভাবে ভোগাদি বিষয়ে দীনতা লোকে অবলোকিত হইতেছে, তবে কি প্রকারে ব্রহ্ম সুখরূপ স্বীকৃত ছইতে পারে ? অাতুর ব্যক্তিবৃন্দের সুবৈদ্য ও ভেষজে প্রয়োজন ও প্রার্থন দেখা যায়, রোগ দুঃখাভাবে তাহ দৃষ্টিগোচর হয় না। অতএব “অহমস্মি” (আমি) ভিন্ন তাহ ব্ৰহ্ম প্রত্যয় অনুভূত নহে। আত্মাই ব্রহ্ম, আমি আত্মা, ইছ মানববৃন্দের নিত্য প্রকাশ হইতেছে । নিম্প্রয়োজন বস্তু জিজ্ঞাস্য লোর্কে পৰ্য্যবেক্ষণ হয় না । যেমত কাক-দন্তের পরীক্ষা, তদ্রুপ ব্রহ্ম