পাতা:শরৎকুমারী (সর্ব্বানন্দ রায়).pdf/২০

শরৎকুমারী। 6: অtদ্যোপীন্ত বর্ণন করিয়া সেনাপতিদিগকে বলিলেন, ভোমরা তপন তাপে সাতিশয় তাপিত হইয়tছ, এজন্য এই সরোবরে স্নান ও উপস্থিত ফলাদি অtহার করিয়া আত্মাকে পরিতৃপ্ত কর । এই কথা বলিতে বলিতে রাজার অবশিষ্ট সৈমোর কানন মধ্যে উপনীত হুইল । তাহাদিগের কোলাহলে ওপোবনস্থ জীব সকল শঙ্কিত হইয়। চীৎকার ধনি করিয়৷ নানাদিকে প্রচণ্ড বেগে পলায়ন করিতে আরিস্তু করিল। কোন দিকের লতামণ্ডপ সকল কুরঙ্গ শৃঙ্গে সংলগ্ন হইয়ণ ছিন্ন ভিন্ন হইতে লাগিল, কোন দিকের বড় বড় বৃক্ষ সকল হস্তী ও গণ্ডীর প্রভৃতি ভীষণকার জন্তুর গাত্র ঘর্ষণে সশব্দে ভগ্ন হইতে লাগিল, এবম্বিধ গভীর শব্দ সকল তপোধনের কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হওয়াতে উtহার ধ্যান ভঙ্গ হইল। তিনি তৎক্ষণাৎ নেত্র উন্মীলন পূৰ্ব্বক বনস্থ সমস্ত জীবের অস্থিরতা ও উড়উীয়মান পক্ষিগণের চঞ্চ পুটস্থ শাৰকদিগের ব্যাকুলত দেখিয়া, নীলোৎপল নামক শিষ্যকে ডাকিয়া বলিলেন, বৎস নীলোৎপল ! অদ্য কোন পাষণ্ড ব্যtধ অথবা নৃশংস নৃপতি মৃগয়ার্থ আসিয়া তপোবন উৎপীড়ন করিভেছে সন্দেহ নাই । অতএব তুমি শীঘ্ৰ যাইয় তাহাকে ক্ষান্ত কর, এবং তাহাকে শীঘ্ৰ তপোবন পরিত্যাগ করিয়া যাইতে বল ।