পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (অষ্টম সম্ভার).djvu/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अनंब्र९. नांहिडा-जर6ह হেমাদিনী কাদিয়া ফেলিলেন। খানিক পরে চোখ মুছিয়া বলিলেন, তুমি ইচ্ছে করলে বটুঠাকুরকে বলে, দিদিকে বলে, স্বচ্ছদে আনতে পায় । তোমার ছুটি পায়ে পড়চি, দাও তাকে ! বিপিন বলিলেন, আচ্ছা, তাই যদি হয়, আমিই বা এত বড়মানুষ কিসে যে, তাকে প্রতিপালন করব ? হেমাঙ্গিনী বলিলেন, আগে আমার একটা তুচ্ছ কথাও ঠেলতে না, এখন কি অপরাধ করেচি যে, যখন এমন করে জানাচ্ছি,—বলটি, সত্যিই আমার প্রাণ বার হয়ে যাচ্ছে—তবু এই সামান্ত কথাটা রাখতে চাইচ না ? সে দুর্ভাগা বলে কি তোমরা সকলে মিলে তাকে মেরে ফেলবে ? আমি তাকে আমার কাছে আসতে বলব, দেখি ওঁরা কি করেন । - বিপিন এবার রক্ট হইলেন। বলিলেন, আমি খাওয়াতে পারব না। হেমাঙ্গিনী বলিলেন, আমি পারব। আমি কি বাড়ির কেউ নই যে, নিজের ছেলেকে খাওয়াতে পারব না। আমি কালই তাকে আমার কাছে এনে রাখব। দিদিরা জোর করেন ত আমি তাকে থানায় দারোগার কাছে পাঠিয়ে দেব। স্ত্রীর কথা শুনিয়া বিপিন ক্রোধে অভিমানে ক্ষণকাল অবাক হইয়া থাকিয়া বলিলেন, আচ্ছা সে দেখা যাবে, বলিয়া বাহির হইয়া গেলেন। পরদিন প্রভাত হইতে বৃষ্টি পড়িতেছিল, হেমাঙ্গিনী জানালাটা খুলিয়া দিয়া জাকাশের পানে চাহিয়াছিলেন, সহসা পাচুগোপালের উচ্চ কণ্ঠস্বর কানে গেল। সে চেচাইয়া বলিতেছিল, মা, তোমার গুণধর ভাই জলে ভিজতে ভিজতে এসে হাজির হয়েচে । খ্যাংরা কোথায় রে ? যাচ্ছি আমি, বলিয়া কাদম্বিনী হস্কার দিয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া মাথায় গামছা দিয়া প্রতিপদে সদর-বাড়িতে ছুটিয়া গেলেন। হেমাঙ্গিনীর বুকটা কঁাপিয়া উঠিল। ললিতকে ভাকিয়া বলিলেন, যা ত বাব, ও-বাড়ির সদরে । দেখ, তে, কেষ্টমামা কোথা থেকে এল ? ললিত চুটিয়া চলিয়া গেল, এবং খানিক পরে ফিরিয়া জাসিয়া কহিল, পাচুদা তাকে নাড়ুগোপাল করে মাথার ছুটে থান ইট দিয়ে বসিয়ে রেখেচে । হেমাঙ্গিনী শুকমুখে জিজ্ঞাসা করিলেন, কি করেছিল সে ? ললিত বলিল, কাল জুপুরবেলা তাকে তাগাদ করতে পাঠিয়েছিল গয়লাদের কাছে, তিন টাকা জাঙ্গার করে নিয়ে পালিয়েছিল, সব খরচ করে এই আসচে। হেমাঙ্গিনী বিশ্বাস করিলেন না। বলিলেন, কে বললে, সে টাকা আদায় कर्ब्रष्ट्रिल ? ६९*