পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छब्रेिब्बछेौम তাহাকেই সম্পন্ন করিতে হুইবে । উঃ সে কত কাজ ! এবং কি ভীষণ নিদারুণ । লোক ডাকা, জিনিস-পত্ৰ ৰোগাড় করা, সন্ধ-বিধবা ও জননীর কোলের ভিতর হইতে তাহার একমাত্র সন্তানের মৃতদেহ টানিয়া বহন করিয়া লইয়া যাওয়া! এই মর্গাম্ভিক শোকের দুঙ্গ কল্পনা করিয়াই তাহার সব্বাঙ্গ পাথরের মত ভারী ও সমস্ত চিত্ত পাথুরেঘাটার প্রতিকূলে মুখ বাকাইয়া দাড়াইল । নিজের অঙ্গাতসারে সে যে ভিতরে ভিতরে সতীশের উপর কতখানি নির্ভর করিয়া বসিয়াছিল, তাহা এইবার অভিমান ও অপমানের আবরণ ভেদ করিয়া দেখা দিল । এই সকল কাৰ্য্য উপেন্দ্রর নিতান্তই প্রকৃতি-বিরুদ্ধ । সাধ্যমত কোনদিন সে ইহার মধ্যে পড়িতে চাহিত না । কিন্তু সতীশের কাছে তাহ কতই না সহজ ! দেশে এমন লোক মরে নাই, যেখানে সে তাহার কৰ্ম্মপট সুস্থ সবল দেহটি লইয়া সৰ্ব্বাগ্রে উপস্থিত হয় নাই, এবং সমস্ত অপ্রিয় কার্য নিঃশব্দে বিনা আড়ম্বরে সম্পন্ন করিয়া দেয় নাই। এ দুঃসময়ে সকলেই তাহীকে খুজিত, এবং তাহার আগমনে শোকাষ্ঠ ও বিপন্ন গৃহস্থ এই দুঃখের মাঝে ও সাম্বনা ও সাহস পাইত। সে যখন একেবারে কলিকাতা ছাড়িয়া চলিয়া গেল, তখন ক্ষণকালের জন্য উপেন্দ্র কোনদিকে চাহিয়া অীর পথ দেখিতে পাইল না । ** স্বরবালা স্বামীর মুখের ভাব লক্ষ্য করিয়া হারানের অবস্থা জিজ্ঞাস করিল, কিন্তু সতীশের প্রসঙ্গ উত্থাপন করিল না । সরোজিনী ফিরিয়া আসিয়া কথা বাহির করিবার জন্যে গল্পছলে যাহা বিবৃত করিয়াছিল, তাহা হইতেই লে কাল রাত্রির ব্যাপারটা অনুমান করিয়া লইয়াছিল, সতীশ যে তাচার স্বামীর কত বন্ধু, তাহ জানিত বলিয়াই এই ব্যথাটা এখন এড়াইয়া গেল । স্বরবালার সাংসারিক বুদ্ধির উপরে উপেন্দ্রর কিছুমাত্র আস্থা ছিল না বলিয়াই সে কোনদিন স্ত্রীর কাছে কোন সমস্তার উল্লেখ করিত না, কিন্তু এইমাত্র সে নিজেকে এতই বিপন্ন ভাবিতেছিল যে, তৎক্ষণাৎ সমস্ত অবস্থাটা প্রকাশ করিয়া ফেলিয়া ব্যাকুল হুইয়া কহিল, সে যে আমাকে এই বিপদের মাঝে ফেলে রেখে চলে যাবে স্বরে, এ আমি স্বপ্নেও ভাবিনি! একা এই অজনা জায়গায় আমি কি উপায় করি। বলিয়া উপেন্দ্ৰ যেন অসহায় শিশুর মত স্ত্রীর মুখের পানে চাহিয়া রহিল। কিন্তু আশ্চৰ্য্য, স্বামীর এতবড় বিপদের বার্তা পাইয়াও স্বরবালার মুখে লেশমাত্র উদ্বেগ প্রকাশ পাইল না। সে কাছে সরিয়া আসিয়া তাহার একটা হাত ধরিয়া পুনরায় বিছানার উপর বসাইয়া দিয়া ধীরুভাবে কহিল, তা অত ভাবছ কেন, এ কলকাতায় কারে জন্তেই কারো আটকায় না । তোমার চা তৈরী হয়েছে, হাত-মুখ पूव्र झुबि छ। খেয়ে নাও। ছোটঠাকুরপোকে সঙ্গে করে আমিও যাচ্ছি চল । ጏቈግ