छब्रिबशैन
বেলা প্রায় দশটা বাজে এমন সময় একটা গোল বাধিল । সরকারমশাই কোখt হইতে খুজিয়া পাতিয়া একটা প্রকাণ্ড বড় রুইমাছ আনিয়া হাজির করিলেন । জগৎতারিণী রান্নাঘরের ভিতর হইতে উকি মারিয়া দেখিয় খুশী হইয়া বলিলেন, বাঃ—বেশ মাছ, কিন্তু—
সরোজিনী কহিল, সতীশবাবুর আসতে এখনও দেরি আছে মা, এখনও দশটা বাজেনি ।
জগৎতারিণী বলিলেন, বাজা-বাজির কথা নয় মা, আজ আমার একাদশী, আমি ত মাছ ছোব না। ভাবচি, তোদের বামুণঠাকুর র ধতে পারবে কি ? আচ্ছা দেখ, ত এলোকেশী, ও-ঘরের রান্না কতদূর এগুলো ?
ঝি বাহিরে যাইতেই সরোজিনী লজ্জিত-মুখে আস্তে আস্তে বলিল, তুমি দেখিয়ে দিলে আমি কি পারব না ?
জগৎতারিণী বিম্বিত-মুখে বললেন, পরবি তুই ? পারব না ? তুমি কেবল দেখিয়ে দাও । ঝি থমকিয় দাড়াইল । এমন চাঞ্চ-দশম বৃহদায়তন রোহিত একটা আনাড়ির হাতে পড়িয়া সম্পূর্ণ নষ্ট হইবার আশঙ্কায় সে ভীত হইয়া উঠিল । কহিল, সে কি হতে পারে মা, বাহিরের লোক খাবে যে ।
জগৎতারিণী ক্ষণকাল কি ভাবিয়া লইয়া কহিলেন, তা হোক, সতীশ আমার বাইরের লোক নয়, সে আমার ঘরের ছেলে । তুই ই করে দাড়িয়ে থাকিস্নে এলোকেশী, ওধারের উৎসটা বেশ করে নিকয়ে ধয়ে মাছ কুটে আন । তুইও এক কাজ কর মা । গরদের কাপড় পরে ত স্থবিধে হবে না—আচ্ছা তা হোক, BS BB BBBB BBB BBB BBB BB BB S BBBBS BBBBS DDD DDS হাতেই তোর হাতে-খড়ি হয়ে যাক, সরি, আশীৰ্ব্বাদ করি, চিরকাল আজকের দিনের মত যেন তোর আঁধ-হাতই হয় ।
এই আশীৰ্ব্বাদে সরোজিনী মুখখানি আরও একটু অবনত করিল। ঘণ্ট-খানেক পরে জ্যোতিষ মায়ের কাছে কি একটা কাজের জন্য রান্না-ঘরের দরজার কাছে আসিয়া নিরতিশয় বিস্ময়ে অবাকৃ হইয়া গেল । ঠাহর করিয়া দেখিয়া কহিল, ওখানে রাধে কে মা ? সরো না কি ?
মা একটু হাসিয়া বলিলেন, দেখ দেখি, চিনতে পারিস কি না ! চিনতে না পারারই কথা মা । কিন্তু ও কি সত্যই রাধচে, না তোমার টাক
ঘাড়ে করে আছে ? -
ম। একটা নিগূঢ় ইঙ্গিত কবিয়া বলিলেন, রাধা-বাড়ার কাজ কি হিছর
३b = }
به دست :
পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/২৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
