পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रृंख्न९-जोश्ङि-भ९4क्ष् হেঁট করিত, তাহা সে কিছুতেই ধরিতে পারিতেছিল না। আজ বেহারীর মুখের এতটুকু পরিচয়েই শুধু আনন্দিত বিস্ময়ে নহে, তাহার সমস্ত মন যেন কোন অপরিচিতের ক্লেদাক্ত বাহপাশ হইতে অকস্মাৎ মুক্তি পাইয়া পবিত্র হইয়া বঁচিল । সে বেহারীর কথাটাকে সম্পূর্ণ সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতে একমুহূর্ত দ্বিধা করিল না । জল আনিতে বিলম্ব হইতে লাগিল । কোন কারণে দেরি হইতেছে মনে করিয়া সে খানিকক্ষণ চুপ করিয়া রহিল। তবু বেহারীর দেখা নাই। পিপাসায় তাহার ক্লেশ বোধ হইতে লাগিল ; সে আর একবার বেহারীকে ডাকিবে মনে করিয়া উঠিয়া বসিয়াই দেখিল জলের গ্লাস লইয়া সাবিত্রী আসিতেছে। এই আচায়পরায়ণা হতভাগিনীকে আজি সে নূতন চক্ষে দেখিল এবং সেই পশকের দৃষ্টিপাতেই তাহার হৃদয়ের অন্ধ্র রন্ধ্র করুণায় ও শ্রদ্ধায় পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। যে-কথা অন্ত কোন সময়ে তাহার মুখে বাধিত এখন বাধিল না । সে হাত হইতে জলের গ্লাস লইয়া সমস্তটুকু নিঃশেষে পান করিয়া গ্লাস নীচে স্বাখিয়া দিয়া বলিল, অনেক কথা আছে । সাবিত্রী মৌন-মুখে চাহিয়া রহিল। সতীশ বলিল, প্রথম দফায় আমাকে মাপ করতে হবে । সাবিত্ৰী শাস্ত-কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, দ্বিতীয় দফায় ? সতীশ বলিল, কাল কখন কি করে এসেছিলাম বলতে হবে । সাবিত্রী উত্তর দিল, শেষ রাত্রে গাড়ি করে। তার পরে ? রাস্তার উপরেই শোবার ব্যবস্থা করেছিলেন । ভাল করিনি। তুলে জানলে কে ? আমি । আর কে ছিল ! এতবড় জড় পদার্থ-টাকে ওপরে তোলা হ’লো কি প্রকারে ! সাবিত্ৰী হাসিয়া বলিল, আপনার ভয় নেই—বালায় কেউ কিছুই জানে না । সতীশ নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল, বাঁচলাম। কিন্তু তোমার সঙ্গে কোন রকমের দুর্ব্যবহার করিনি ত ? 1 || সতীশ অতিশয় প্রফুর হইয়া বলিল, তবে কি কথা মনে করে দিতে চাচ্ছিলে ? আপনার শপথ । আপনি দিব্যি করেচেন আর কোন দিন মদ খাবেন না। হঠাৎ দিব্যি করতে গেলাম কেন ? এরকম দুৰ্ব্বদ্ধি ত আমার হবার কথা নয়। বোধ করি আমার কথায় হয়েছিল ।