পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ নিশ্চয়ই না। তুমি বল কি, আবার নাকি আমি টাকা দিই তাকে ? তবে এমন কথা বলাই বা কেন ? হরিশ কহিলেন, বললেই যে দিতে হবে তার কোন মানে নাই বৌঠান। আমিও ত দাদার সহোদর, আমারও ত একটা মতামত নেওয়া চাই। সংসারে টাকা নষ্ট হলে আমারও ত গায়ে লাগে ! সেইটেই তোমার আসল কথা ঠাকুরপো, বলিয়া সিদ্ধেশ্বরী রাগ করিয়া উঠিয়া গেলেন । وقا সিদ্ধেশ্বরীর সেবার ভার নয়নতারা গ্রহণ করিয়াছিল । সেই সেবা এমনি নিরেট, এমনি ভরাট যে, তাহার কোন এতটুকু ফাক দিয়া আর কাহারও কাছে ঘেষিবার জো ছিল না । সিদ্ধেশ্বরী এমন সেবা র্তার এতখানি বয়সে কখনও কাহারও কাছে পান নাই। তবুও কেন যে তাহার অশাস্ত মন অমৃক্ষণ শুধু ছল ধরিয়া কলহ করিবার জন্য উন্মুখ হইয়াছিল এ রহস্য জানিত শুধু অন্তৰ্য্যামী । সেদিন সকালে সিদ্ধেশ্বরী ছয়মাসের রোগীর মত টলিয়া টলিয়া রান্নাঘরের বারান্দায় আসিয়া থপ, করিয়া বসিয়া পড়িলেন। একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া ভ্রান্ত তুৰ্ব্বলকণ্ঠে, বোধ করি বা স্বমুখের দেয়ালটাকেই উপলক্ষ্য করিয়া বলিতে লাগিলেন, আপনার জন বটে মেজবোঁ, সে না থাকলে আমাকে দেখচি বেঘোরে মরতে হত। এমনি সেবাযত্ন আমার মায়ের পেটের বোন থাকলেও করতে পারত না । শৈল ঘরের ভিতরে রাধিতেছিল, সমস্তই শুনিতে পাইল । এই কয়টা দিন সে বড়জায়ের ঘরেও যায় নাই, তাহার সঙ্গে কথাও কহে নাই। এখনও চুপ করিয়া রহিল । সিদ্ধেশ্বরী পুনরায় শুরু করিলেন, আর অপরকে খাওয়ানো-পরানো শুধু অধৰ্ম্মের তোগ—ভন্মে ঘি ঢালা। অসময়ে কোন কাজেই আসে না। আর এই আমার মেজবোঁ । মুখের কথাটি খসাতে হয় না, ই ই করে এসে পড়ে। আমি হেঁটে গেলে তার বুকে বাজে। আমার পোড়া কপাল যে, এমন মানুষকেও আমি পরের ভাঙচি শুনে পর মনে করেছিলুম। শৈলর চুড়ির শক, হাতী-বেড়ি নাড়ার শত্ৰ সবই তাহার কানে আলিতেছে। এত কাছে থাকিয়াও সে যখন এত বড় মিথ্যা অভিযোগের কোন জবাব দিল না, তখন আর তাহার অধৈৰ্য্যের সীমা বৃছিল না। তার চিচি কণ্ঠস্বর একমুহূর্তেই প্রবল 戈畿顿