পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (চতুর্থ সম্ভার).djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত বলিতে তাহার বাধে নাই, কিন্তু আমার বাধিল । আমার নাম দিল সে নতুনগোঁসাই। বলিল, ও নামটা আমাকে যে মুখে আনতে নেই গোসাই । তাহার বিশ্বাস আমি তাহার গত জীবনের বন্ধু । আমাকে তাহার ভয় নাই, আমার কাছে সাধনায় তাহার বিঘ্ন ঘটিবে না । বৈরাগী দ্বারিকাদাসের শিষ্য। সে, কি জানি কোন সাধনায় সিদ্ধিলাভের মন্ত্র তিনি দিয়াছিলেন । অকস্মাৎ রাজলক্ষ্মীকে মনে পড়িল—মনে পড়িল তাহার সেই চিঠি । স্নেহ ও স্বার্থে মিশামিশি সেই কঠিন লিপি। তবুও জানি এ জীবনের পূর্ণচ্ছেদে সে আমার শেষ হইয়াছে । হয়ত এ ভালোই হইয়াছে, কিন্তু সে শূন্তত ভরিয়া দিতে কি কোথায় কেহ আছে ? জানলার বাহিরে অন্ধকারে চাহিয়া চুপ করিয়া বসিয়া রহিলাম। একে একে কত কথা কত ঘটনাই স্মরণ হইল। শিকারের আয়োজন, কুমার সাহেবের সেই র্তাবু, সেই দলবল, বহুবর্ষ পরে প্রবাসে সেই প্রথম সাক্ষাতের দিন, দীপ্ত কালো চোখে তাহার সে কি বিস্ময়ম্বন্ধ দৃষ্টি। ষে মরিয়াছে বলিয়া জানিতাম তাছাকে চিনিতে পারি নাই—সেদিন শ্মশানপথে তাহার সে কি ব্যগ্র ব্যাকুল মিনতি ! শেষে ক্রুদ্ধ হতাশ্বাসে সে কি তীব্র অভিমান! পথরোধ করিয়া কহিল, যাবে বললেই তোমাকে যেতে দেব নাকি ? কই যাও তো দেখি ? এই বিদেশে বিপদ ঘটলে দেখবে কে ? ওরা, না আমি ? এবার তাহাকে চিনিলাম। এই জোরেই তাহার চিরদিনের সত্য পরিচয় । জীবনে এ আর তাহার ঘুচিল না—এ হইতে কখনো কেছ তাহার কাছে অব্যাহতি পাইল না । আবার পথের প্রাস্তে মরিতে বসিয়াছিলাম, ঘুম ভাঙিয়া চোখ মেলিয়া দেখিলাম শিয়রে বসিয়া সে । তখন সকল চিন্তু সঁপিয়া দিয়া চোখ বুজিয়া গুইলাম। সে ভার उॉइॉब्र, श्रांभांब्र बङ्ग । দেশের বাড়িতে আসিয়া জরে পড়িলাম। এখানে সে আসিতে পারে মা— এখামে সে মৃত—এর বাড়া লঙ্গ তাহার নাই, তথাপি ষাহাকে কাছে পাইলাম সে ওই ब्रांछलचहौ । চিঠিতে লিখিয়াছে—তখন তোমাকে দেখিবে কে ? প্রচু r আর আমি কিরিব গুৰু চাকরের মুখে খবর লইয়া ? তারপরেও বাচিতে বলে নাকি ? এ প্রশ্নের জবাব দিই নাই । জানি না বলিয়। নয়—সাহস হয় নাই । মনে মনে বলিলাম, শুধু কি রূপে ? সংযমে, শাসনে, স্বকঠোর জাত্মনিয়ন্ত্রণে এই প্রখর বৃদ্ধিশালিনীর কাছে ঐ স্নিগ্ধ মুকোমল আশ্রমবাসিনী কমললতা কতটুকু ? 沙》

  • هستهss