পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ত্রয়োদশ সম্ভার).djvu/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ যেত পা ফুলো-ফুলে অল্পবয়সী একদল মেয়ে। বুঝতাম এর বেরী-বেরীর আসামী । BBB BBB DS BBB BBBB DD DD DDS BBD BBBD DD DDS গরম পড়েচে, তবু দেখি কারও পায়েঞ্জাট করে মোজা পরা। কেউ বা দেখতাম মাটি পৰ্য্যস্ত লুটিয়ে কাপড় পরেছে,—সেটা পথ চলার বিশ্ন,—তবু, কৌতুহলী লোকচক্ষু থেকে তারা বিকৃতিটা আড়াল রাখতে চায়। আর সব চেয়ে দুঃখ হ’ত আমার একটি দরিদ্র ঘরের মেয়েকে দেখে। সে একলা যেতো। সঙ্গে আত্মীয়-স্বজন নেই, শুধু তিনটি ছোট-ছোট ছেলে-মেয়ে । বয়স বোধকরি চব্বিশ পঁচিশ, কিন্তু দেহ যেমন শীর্ণ মুখ তেমনি পাণ্ডুর—কোথাও যেন এতটুকু রক্ত নেই। শক্তি নেই নিজের দেহটাকে টানবার, তবু সব চেয়ে ছোট ছেলেটি তার কোলে ! সে তো জার হাটতে পারে নী—অথচ, রেখে আসবারও ঠাই নেই। কি ক্লান্তই ন মেয়েটির চোখের চাহনি। মনে হতো আমাকে দেখে যেন সে লজ্জা পায়। কোন মতে এই স্থানটুকু তাড়াতাড়ি পালাতে পারলেই বঁাচে । ছেড়াখোড়া জাম-কাপড়ে সস্তান তিনটি ঢেকে-ঢুকে প্রত্যহই সে এই পথে চলতো । হয়ত ভেবেচে, আর কিছুতে যা হ’লে৷ না, সাওতাল পরগনার স্বাস্থ্যকর জল হাওয়ায় এই অত্যন্ত ক্লেশকর হাটার মধ্যে দিয়েই সেটুকু সে পূরণ করে নিতে পারবে। রোগ মুক্ত হয়ে আবার ফিরে পাবে বল, ফিরে পাবে আশা—আবার স্বামীপুত্রের সেবার সংসারে নারী-জীবনটা সার্থক করে, তুলতে পারবে। নিজের মনে বসে বসে ভাবতাম, এ ছাড়া আর কি-ই বা কামনা আছে তার ? বাঙল। দেশের মেয়ে,—এর বেশী চাইতে কে কবে শেখালে তারে ? মনে মনে আশীৰ্ব্বাদ করতাম—মেয়েটি যেন ভাল হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, যে ছেলে তিনটি তার সমস্ত জীবনীশক্তি শোষণ করে নিয়েচে তাদেরই যেন মানুষ করবার অবকাশ পায় । সে কার মেয়ে, কার বেী, কোথায় বাড়ি কিছুই জানিনে,—শুধু এই বাঙলা দেশের অসংখ্য মেয়ের প্রতীক হয়ে সে যেন আমার মনের মধ্যে গভীর দাগ কেটে রেখে গেল, যা সহজে মুছবার নয়। আমার সঙ্গে এসেছিল একটি যুবক বন্ধু। নিঃস্বার্থ সেবার জন্তে। কলকাতায় ভারি অন্ত্রখের সময়েও যেমন দেখেচি, এখানে দেখতে পেলাম তেমনি । মাঝে মাঝে সে বলতো—চলুন দাদা, আজ একটু বেড়িয়ে আসবেন । আমি বলতাম, তুমি যাও ভাই, আমি এখানে বসেই ও কাজটা সেরে নিই। সে অসহিষ্ণু হয়ে বলতে— আপনার চেয়েও কত বেশী বয়সের লোক এখানে বেড়িয়ে বেড়ায়। একটু চলাফের না করলে ক্ষিঙ্গে হবে কেন ? বলতাম, ওটা কম হলেও সইবে, কিন্তু পথে পথে মিছিমিছি ঘুরে বেড়ানো যাবে না। সে রাগ করে একলাই বেড়াতে যেতো। কিন্তু সাবধান করে দিত,—অন্ধকারে \రి\రిy