পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ হবে পৃথিবী-মৃদ্ধ লোকের দৈনিক বিবরণ গুনে। তার চেয়ে কোন সংগ্ৰন্থ প্রবণে মলেরও শাস্তি, পরলোকেরও কল্যাণ । বিমলবাবু হাসিলেন। বলিলেন, কোন বই গুনতে ইচ্ছে হচ্ছে বলুন, পক্ষে শোনাই । চৈতন্যচরিতামৃত পড়বেন ? বিমলবাবু বলিলেন, বৈষ্ণব ধৰ্ম্মশাস্ত্রের মধ্যে ঐ একখানা আশ্চর্ঘ্য পুৰি। পড়েচেন আপনি ? ব্রজবাবুর কণ্ঠে বিস্ময় ও আনন্দ উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠিল। অল্প-স্বল্প নেড়েচি মাত্র। পড়া হয়েচে ঠিক বলা চলে না। সে তো নয়ই । চৈতন্যচরিতামৃত যে মানুষ পাঠ করতে পেরেচে অর্থাৎ ওর অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেচে, সে তো গোবিন্ধ-পাদপদ্মে পৌছে গিয়েচে । বিমলবাবু বলিলেন, এখানে চৈতন্যচরিতামৃত আছে কি ? ই আছে। রেণুকে আমি ভাগবত আর চরিতামৃত সঙ্গে আনতে বলেছিলাম। রেণু নিজেও পৃথিখানি পড়তে ভালবাসে কি-না। তাই নাকি ? মেয়েকেও তা হলে আপনি ভগবৎ-প্রেমামৃতের জাস্বাদন দান করেচেন বলুন ? জিভ কাটিয়া যুক্ত-কর ললাটে ঠেকাইয়া উদ্দেশ্য দেবতাকে প্রণাম করিয়া ব্ৰজবাবু বলিলেন, ছি, ছি, এমন কথা মুখে আনতে নেই। ওতে আমার অপরাধ হবে। গোবিশ-প্রেমের আস্বাক্ষ সে কি মানুষ মানুষকে দিতে পারে বিমলবাবু ? জ্ঞান, বুদ্ধি, মেধা সবই সেখানে তুচ্ছ অর্থহীন। কেবল তিনি যাকে নিজে কৃপা করেন, সেই ভাগ্যবানই সংসারে তার প্রেমের দুর্লভ আস্বাদন-লাভে ধন্ত হয় । বিমলবাবু নীরব রছিলেন । ব্ৰজবাবু বলিতে লাগিলেন, এই ষে কাল সন্ধ্যায় ঐকান্তিক আকাঙ্ক্ষায় আপনার কাছে এক প্রার্থনা জানিয়েছিলাম, আজ সকালে আর তো তার জন্য এতটুকুও আগ্রহ অনুভব করচিনে। এ কি গোবিন্দেরই করুণা নয় ? নিরুদ্বেগ সরল হাসিতে ব্ৰজবাবুর মুখখানি কোমল হইয়া উঠিল। বিমলবাবু বলিলেন, আমি কাল রাত্রে চিন্তা করে ও-বিষয়ে আমার কর্তব্য স্থির করে ফেলেচি । ব্ৰজবাবুর রোগ-পাণ্ডুর মুখমণ্ডলে পরিতৃপ্তির জানঙ্গ-রেখা ফুটিয়া উঠিল। বলিলেন, জামি জানি তোমাকে উপলক্ষ্য করে গোবিন্স আমার তারযুক্ত করবেন। বিমলবাবু বলিলেন, কি করে টের পেলেন বলুন তো–কথা-কটি স্কিন্ধকৌতুকে जबूञ्जण । ব্ৰজৰাৰু মাথা নাড়িতে নাড়িতে বলিলেন, গোবিন্দ্ৰই ষে তার অধম সেবকের 藏e