পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ শুনেছি, সমিতির প্রার্থনায় কবিগুরু একটুখানি লিখন পাঠিয়েছিলেন, Liberty" তে তার ইংরেজী তর্জমা প্রকাশিত হয়েচে । তার শেষের দিকে আমার অকিঞ্চিৎকর সাহিত্যসেবার অপ্রত্যাশিত পুরস্কার আছে। এ আমার সম্পদ । তাকে নমস্কার জানাই, এবং সমিতির হাত দিয়ে একে পেলাম বলে আপনাদের কাছে আমি क्लडऊ ! এই লেখাটুকুর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ বাঙলার কথা-সাহিত্যের ক্রমবিকাশের একটুখানি সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়েচেন । বিস্তারিত বিবরণও নয়, দোষ-গুণের সমালোচনাও নয়, কিন্তু এরই মধ্যে চিন্তা করার, আলোচনা করার, বাঙলা-সাহিত্যের ভবিষ্যৎ দিকনির্ণয়ের পর্য্যাপ্ত উপাদান নিহিত আছে । কবি বঙ্কিমচন্ত্রের ‘আনন্দমঠে'র উল্লেখ করে বলেচেন, 'বিষবৃক্ষ' ও 'কৃষ্ণকাস্থের উইলের তুলনায় এর সাহিত্যিক মূল্য সামান্যই। এর মূল্যে স্বদেশ-হিতৈষণায়-মাতৃভূমির দুঃখ-দুর্দশার বিবরণে, তার প্রতিকারের উপায় প্রচারে, তার প্রতি প্রতি ও ভক্তি আকর্ষণে। অর্থাৎ "আনন্দমঠে সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্ত্রের সিংহাসন জুড়ে বসেচে প্রচারক ও শিক্ষক বঙ্কিমচন্দ্র। বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস-সম্বন্ধে এমন কথা বোধ করি এর পূৰ্ব্বে আর কেউ বলতে সাহস করেনি। এবং এ-কথাও হয়ত নিঃসংশয়ে বলা চলে যে, কথা-সাহিত্যের ব্যাপারে এই হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের সুস্পষ্ট ও স্বনিশ্চিত অভিমত । এই অভিমত গন্তব্য-পথের সন্ধান এইখানে পাওয়া গেল। এবং যারা পারবে, উত্তরকালে তাদের গন্তব্য পথের সন্ধান এইখানে পাওয়া গেল এবং যারা পারবে না, তাদেরও একান্ত শ্রদ্ধায় মনে কয় ভালো যে, এই উক্তি রবীন্দ্রনাথের - র্যার সাহিত্যিক প্রতিভা ও instinct প্রায় অপরিমেয় বলা চলে । গল্প, উপন্যাস ও কবিতায় স্বদেশের দুঃখের কাহিনী, অনাচার অত্যাচারের কাহিনী কি করে যে লেখকের অন্যান্য রচনা ছায়াচ্ছন্ন করে দেয়, আমি নিজেও তা জানি, এবং বঙ্কিমচন্ত্রের সতি-সভায় গিয়েও তা অনুভব করে এসেচি। বছর-কয়েক পূৰ্ব্বে কাঠালপাড়ায় বঙ্কিম সাহিত্য-সভায় একবার উপস্থিত হতে পেরেছিলাম। দেখলাম, র্তার মৃত্যুর দিন স্মরণ করে বহু মনীষী, বহু পণ্ডিত, বহু সাহিত্য-পুসিক বহু স্থান থেকে সভায় সমাগত হয়েচেন, বক্তার পরে বক্তা—সকলের মুখেই ঐ এক কথা—বঙ্কিম ‘বন্ধে মাতরম' মন্ত্রের ঋষি, বঙ্কিম মুক্তি-যজ্ঞে প্রথম পুরোহিত । সকলের সমবেত শ্রদ্ধাeলি গিয়ে পড়লে এক আনন্দমঠের পরে। দেবী চৌধুরাণী', 'কৃষ্ণচরিত্যের উল্লেখ কেউ কেউ করলেন বটে, কিন্তু কেউ নাম করলেন না 'বিষবৃক্ষের, কেউ স্বরণ করলেন না একবার ‘কৃষ্ণকাস্তের উইল’কে। ঐ দুটো বই যেন পূর্ণচন্দ্রের কলঙ্ক, ওর জন্যে যেন মনে মনে সবাই লজ্জিত। তাঁর পরে প্রত্যেক সাহিত্যসন্মিলনীর বা অবশ্য কৰ্ত্তব্য অর্থাং আধুনিক সাহিত্যসেবীদের নির্বিচারে ও \! శ్రీ 4