পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰছ বাজের আলো একমুহূর্তে যেমন করিয়া অন্ধকার চিরিয়া ফেলে, আজ ছোটবে। তেমনি করিয়া তাহার বুকের অন্ত:স্তল পৰ্য্যন্ত যেন চিরিয়া দিয়া গেল। ভাবিতে ভাবিতে কাদিতে কাদিতে কখন এক সময় সে ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল। হঠাৎ কাহার হস্তম্পর্শে সে ধড়মড় করিয়া উঠিয়৷ বসিয়া দেখিল, নীলাম্বর আসিয়া তাহার শিয়রের কাছে বসিয়াছে । নীলাম্বর সংক্ষেপে পলিল, ঘরে চল, রাত প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। বিরাজ কোন কথা না বলিয়া স্বামীর দেহ অবলম্বন করিয়া নিঃশব্দে ঘরে আসিয়া নিজীবের মত শুইয়া পড়িল । Wo \ এক বৎসর কাটিয়াছে। এই বৎসর দুই জানা ফসলও পাওয়া যায় নাই। যে জমিগুলি হইতে প্রায় সারা বছরের ভরণপোষণ চলিত, তাহার অনেকটাই ওপাড়ার মুখুয্যেমশাই কিনিয়া লইয়াছেন। ভদ্রাসন পৰ্য্যন্ত বাধা পড়িয়াছে, ছোটভাই পীতাম্বর গোপনে নিজের নামে ফিরহিয়া লইয়াছে—তাহাও জানাজানি হহয়াছে। হালের একটা গল্প মরিয়াছে। পুকুর রোদে ফাটিতেছে—বিরাজ কোনদিকে চাহিয়া আর কুপ-কিনারা দেখিতে পাহল না। দেহের কোন একটা স্থান বন্ধক্ষণ পয্যন্ত বাধয়া রাখলে একটা অসঙ্ক অথচ অব্যক্ত মন্দ যাতনায় সৰ্ব্বদেহটা যে রকম করিয়া ধারে ধীরে অবসঙ্গ হইয়া আসিতে থাকে, সমস্ত সংসারের সহিত সম্বন্ধটা তাহার তেমনই হইয়া আসিতে লাগিল। আগে সে যখন তখন হাসিত, কথায় কথায় ছল ধরিয়া পরিহাস করিত, কিন্তু এখন বাড়ির মধ্যে এমন একটি লোক নাই যে, সে কথা কহে । অথচ কেহ দেখা করিতে আসিলে, সংবাদ গছতে ইচ্ছা করিলেও সে ভিতরে ভিতরে বিরক্ত হয়। অভিমানী প্রকৃতি তাহার, পাড়ার লোকের একটা কথাতেও বিদ্রোহী হইয়া উঠে । সংসারের কোন sca আহা মে আর লেশমাত্র উৎসাহ নাই, তাহ তাহার কাজের দিকে চোখ ফিাইলেছ চোখে পড়ে। তাহার ঘরের শয্যা মলিন, কাপড়ের আলনা অগোছান, জিনিসপত্র অপরচ্ছন্ন—সে র্যাট দিয়া ঘরের কোণে জঙ্কাল জড় করিয়া রাখে—তুলিয়। and iবার মত জোরও সে যেন নিজের দেহের মধ্যে দিয়া পায় না। এমন করিয়া দিন কাটিতেছিল। ইতিমধ্যে নীলাম্বর ছোটবোন হরিমতিকে দুইবার এন দে করিয়াছে। তাহারা পাঠায় নাই। নিপন হইল একখানা মিঠ ኧግ•