পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ বছরের জন্তে আমাকে নিশ্চিন্ত করে যেতে পারতেন, কেন না, এ-সকল কাজ আর কোন বৌয়ের দ্বারাই অমন শৃঙ্খলায় হয় না,–কিন্তু কি আর করা যাবে । নিয়ে গিয়ে দু’দশদিন তার মায়ের কাছে দিয়ে, তবু বোনদের সঙ্গে দিন-কতক আনন্দে কাটাতে পারবেন। বিভূতি, তোমার বাসায় ত বিশেষ কোন অসুবিধা হবে না ? বিভূতি কহিল, আজ্ঞে না, অসুবিধা কিছুই হবে না। শিবরতন বলিলেন, বেশ তাই ক’রে । ন’বৌমা বাড়ি ছেড়ে যাবেন মনে হলেও আমার বিজয়ার দুঃখ যেন বেশী করে উথলে ওঠে,–কিন্তু কি আর করা যাবে। সবই মহামায়ার ইচ্ছা। সারা বছর সবাইকে নিয়ে সংসার করা—বলিয়া তিনি একটা দীর্ঘ-নিঃশ্বাস চাপিয়া ফেলিয়া বোধ করি আরও কি একটু বলিতে যাইতেছিলেন, কিন্তু অকস্মাৎ উপস্থিত সকলেই একেবারে চমকিত হইয়া উঠিলেন। বৃদ্ধ জননী কঁাদিতে কঁাদিতে একেবারে প্রাঙ্গণের মাঝখানে আসিয়া দাড়াইয়াছিলেন। শিবরতন শশব্যস্তে হ’ক রাখিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন, শস্তু এবং বিভূতি তাহারাও অগ্রজের সঙ্গে দাড়াইয়া উঠিল ; মা কঁদিতে কঁাদিতে ধলিলেন,— শিবু, আমার গুরুর দিব্বি রইল, তোদের বাড়িতে আর আমি জল গ্রহণ করব না, যদি ন এর বিচার করিস। ন'বোঁ বড়লোকের বেটী, আজ আমাকে জুতো ছুড়ে মেরেছে ! সম্মুখে বজাঘাত হইলেও বোধ করি ভাইয়ের অধিক চমকিত হইতেন না । বিভূতি ভয়ে পাংগু হইয়া উঠিল, শিবরতন বিশ্বয়ে হতবুদ্ধি হইয়া বলিয়া উঠিলেন, ন’বেীমা ! একি কখনো হতে পারে মা ? মা তেমনি রোদন-বিকৃত-কণ্ঠে কহিলেন, হয়েও কাজ নেই বাবা, ও যে নবোঁ । বড়লোকের মেয়ে ! তা যাই হোক, যখন গুরুর নাম নিয়ে দিব্বি করেচি, তখন বাড়িতে রেখে বুড়ে মাকে আর মেরো না বাবা, আজই কাণী পাঠিয়ে দাও। যাই তাদের চরণেই আশ্রয় নিই গে । 幡 দেখিতে দেখিতে ছেলে-মেয়ে দাসী-চাকরে প্রায় ভীড় হইয়া উঠিয়াছিল, শিবরতন র্তার ছোট মেয়ে গিরিবালার প্রতি চাহিয়া কহিলেন, কি হয়েচে রে, গিরি, তুই জানিস? গিরিবালা মাথা নাড়িয়া বলিল, জানি বাবা —এই বলিয়া সে সাণ্ডেলদের সরীয় সন্দেশ কম হইবার বিবরণ সবিস্তারে বিবৃত করিয়া কহিল, ঠাকুরমা ন’খুড়ীমাকে বজ9 গলাগলি দিচ্ছিলেন, বাবা ! 8는