পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন মেয়েটি মাথা নাড়িয়া বলিল, ई। । আপ্তবাবু বলিলেন, তা হলে তুমি ভাগ্যবতী । কিন্তু অজিত তোমার চেয়েও ভাগ্যবান, কেন-না এই পরম বিস্ময়ের জিনিসটি সে কখনো দেখেনি, এইবার দেখবে। কিন্তু অালো কমে আসচে, আর ত দেরি করলে চলবে না অজিত । মনোরম বলিল, দেরি ত শুধু তোমার জন্তই বাবা । ওঠে। ওঠা ত সহজ ব্যাপার নয় মা, তার জন্ত যে আয়োজন করতে হয়। তা হলে সেই আয়োজন কর বাবা । করি। আচ্ছ কমল, দেখে কি-রকম মনে হ’ল ? কমল কহিল, বিস্মযের বস্তু বলেই মনে হ’ল। মনোরমা ইহার সহিত কথা কহে নাই, এমন কি, পরিচয় আছে এ পরিচয়টুকুও তাহার আচরণে প্রকাশ পাইল না । পিতাকে তাগিদ দিয়া কহিল, সন্ধ্যা হয়ে আসচে, ওঠে। এইবার। উঠি মা। বলিয়া আশুবাবু উঠিবার কিছুমাত্র উদ্যম না করিয়াই বসিয়া রছিলেন। কমল একটুখানি হাসিল, মনোরমার প্রতি চাহিয়া কহিল, ওঁর শরীরও ভাল নয়, ওঠানামা করাও সহজ Tয়। তার চেয়ে বরঞ্চ আমরা এইখানে বসে গল্প করি, আপনার দেখে আসুন । মনোরম। এ-প্রস্তাবে জবাবও দিল না, শুধু পিতাকেই জিদ করিয়া পুনরায় কহিল, না বাবা, সে হবে না । ওঠে তুমি এইবার। 蠅 لي কিন্তু দেখা গেল উঠিবার চেষ্ট প্রায় কাহারও নাই। যে জীবন্ত বিস্ময় এই অপরিচিত রমণীর সর্বাঙ্গ ব্যাপিয়া অকস্মাৎ মূৰ্ত্ত হইয়া উঠিয়াছে, ইহারই সন্মুখে ওই , অদুস্থিত মৰ্ম্মরের অব্যক্ত বিস্ময় যেন একমুহূর্তেই ঝাপা হইয়া গিয়াছে। অবিনাশের চমক ভাঙিল। বলিলেন, উনি না গেলে হবে না । মনোরমার বিশ্বাস, ওঁর বাবার চোখ দিয়ে না দেখতে পেলে তাজের অৰ্দ্ধেক সৌন্দৰ্য্যই উপলব্ধি করা যাবে না । কমল সরল চোখ দুটি তুলিয়া জিজ্ঞাসা করিল, কেন ? আণ্ডবাবুকে কহিল, আপনি বুঝি এ-বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ লোক ? এবং সমস্ত তত্ত্ব জানেন বুঝি ? মনোরম মনে মনে বিস্মিত হইল। কথাগুলা ত ঠিক অশিক্ষিত দাসীকঙ্কার মত নয় । জাগুবাবু পুলকিত হইয়া কছিলেন, কিছুই জানিনে। বিশেষজ্ঞ ত নয়ই→ সৌন্দৰ্য্য-তত্বের গোড়ার কথাটুকুও জানিনে। সেদিক দিয়ে আমি একে দেখিওনে a{ه\ "ރ ި Ե*-4 مبر”