পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগামী কাল তাই জানিও। কিন্তু আমার যে বিশ্বাস হতে চায় না, তুমি সত্যই আমাকে দূরে সরিয়ে দিতে চাও । এতক্ষণে তার পরিহাসের হাল্কা কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে এলো দেখে মণির মুখের পরেও একটা ব্যথার ছায়া পড়লো । হয়ত ভাবলে কি জবাব দেবে, কিন্তু দেবার পূর্বেই নীচে সদর রাস্তায় একটা মোটর এসে দাড়ালো এবং পরক্ষণেই এককড়ির গলা শোনা গেল—মণি মণি, তুমি কোন ঘরটায় থাকো ? কে একজন বলে দিলে তে-তলায় উঠে বঁ-দিকের ফ্ল্যাটটা । মণি ব্যস্ত হয়ে বারান্দায় বেরিয়ে এসে সাড়া দিলে—আম্বন এককড়িদা, এই আমার ঘর । মিনিট-খানেক পরে এককড়ি এসে ঢুকলে, য-চাকরটা চিনিয়ে দিতে তার সঙ্গে এসেছিল, সে বারান্দার একধারে দাড়িয়ে রইলো। এককড়ি আসন গ্রহণ করে চারিদিকটা একবার চেয়ে নিয়ে বললে, বাঃ—দিব্যি সাজানো-গোছানে! ঘরটি ত । মণি শুধু একটু হাসলে। কিন্তু পিছনের থেকে রমেন এ-কথার জবাব দিয়ে বললে, তার কারণ আছে এককড়িদা, এ হ’লো লক্ষ্মীর বাসস্থল, গাছতলা হলেও এর পারিপাটাটুকু আপনার চোখে পড়বেই। আপনার বাড়ি কখনো দেখিনি, কিন্তু জোর করে বলতে পারি সে-ও এত সুন্দর নয়। আপনি ভাবছেন না দেখেই লোকটা বলে কি করে ? বলি এইজন্যে যে, জানি বৌ-ঠাকরুণ স্বৰ্গীয় হয়েছেন, বেঁচে থাকলে এমন কথা মুখে আনতেও পারতাম না। কথাগুলো এককড়ির ভালই লাগলো, তথাপি এই অপরিচিত যুবকের গায়েপড়া আলাপ ও আত্মীয় সম্বোধনে সে বিরক্ত-মুখে ফিরে জিজ্ঞাসা করলে, কে আপনি ? আমি রমেন, দাদা ! মণির ছেলেবেলার বন্ধু। কিন্তু আমাকে ‘আপনি’ বলবেন না। কেবল বয়েসে নয়, সকল দিকেই আপনার ঢের ছোট। আমাকে "তুমি বলতে হবে। যাকে চিনিনে, কোনদিন আলাপ-পরিচয় নেই, তাকে কি হঠাৎ তুমি' বলা সাজে ? সাজে দাদা, সাজে। কিন্তু হঠাৎ ত নয়। আপনি চেনেন না বটে, কিন্তু মণির মুখ থেকে আপনাকে যে আমি খুব চিনি। সন্দেহ হচ্ছে, জলধিবাবু আমার প্রতি মন আপনার বিধিয়ে না দিলে 'তুমি বলতে আপনি একটুও দ্বিধা করতেন না। ’ তিনি ঠিক কি কি বলেছেন জানিনে, কিন্তু মণিকে আড়ালে জিজ্ঞাসা করলে টের পাবেন, আমি দুর্জন, ছৰ্বত্ত মোটেই নয়। নিরীহ মানুষ, বিদেশে ছেলে পড়িয়ে HIVර් ex- -ee