পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*बं९-नाहेिछा-नरáह তাহার কত রকমের প্রয়োজন, কত রকমের গুছান-গাছান । তাহার স্বামী, তাহার পুত্র, তাহার লোকজন, দাসী-চাকর তাহাকে আশ্রয় করিয়াই যাত্রা করিবে । দীর্ঘ পথে কাহার কি চাই—তাহাকেই যোগাইতে হইবে, তাহাকেই সমস্ত ভাবিয়া সঙ্গে লইতে হইবে । নিজের জীবনটাকে ষোড়শী কোনদিন পরের সঙ্গে তুলনা করিয়া দেখে নাই, আলোচনা করিবার কথাও কথনো মনে হয় নাই, তবুও সে মনের মাঝখানে গৃহিণীপনার সকল দায়িত্ব, সকল ভার, জননীর সকল কৰ্ত্তব্য, সকল চিন্তাকে কে যেন কবে মুনিপুণ হাতে সম্পূর্ণ করিয়া সাজাইয়া দিয়া গেছে। তাই কিছু না জানিয়াও সে সব জানে, কখনও কিছু না শিথিয়াও হৈমর সকল কাজ তাহারি মত নিখুঁত করিয়া করিতে পারে এই কথাই তাহার মনে হইল । অনতিদূরে একখণ্ড কাঠের উপর সংস্থাপিত মাটির প্রদীপটা নিব-নিব হইয়া আসিতেছিল, অন্যমনে ইহাকে উজ্জল করিয়া দিতে তাহার চমক ভাঙিয়া মনে পড়িল সে চণ্ডীগড়ের ভৈরবী । এতবড় সম্মানিত গরীয়সী নারী এ-প্রদেশে আর কেহ নাই । সে সামান্ত একজন রমণীর অত্যন্ত সাধারণ গৃহস্থালীর অতি তুচ্ছ আলোচনায় মুহূর্তের জন্যও আপনাকে বিহবল করিয়াছে মনে করিয়া লজ্জায় মরিয়া গেল। ঘরে আর কেহ নাই, ক্ষণকালের এতটুকু দুৰ্ব্বলতা জগতে কেহ কখনো জানিবেও না, শুধু কেবল ষে দেবীর সেবিক সে, সেই চণ্ডীর উদ্বেপ্তে আর একবার যুক্ত করে নত-শিরে কহিল, মা, বৃথা চিন্তায় সময় বয়ে গেল, তুমি ক্ষমা ক’রে। রাত্রি কত হইয়াছেঠিক জানিবার জে। নাই, কিন্তু অনুমান করিল অনেক হইয়াছে । তাই শয্যাটুকু আরও একটু বিস্তুত করিয়া এবং প্রদীপে আরও খানিকটা তেল ঢালিয়া দিয়া সে গুইয়া পড়িল। শ্রান্ত চক্ষে ঘুম আসিতেও বোধ করি বিলম্ব ঘটিত না; কিন্তু বাহিরে দ্বারের কাছেই একটা বিকট শব্দ শুনিয়া চমকিয়া উঠিয়া বসিল । বাতাসেও একটু জোর ধরিয়াছিল, শিয়াল-কুকুর হওয়া অসম্ভব নয়, তবুও ক্ষণকাল কান পাতিয়া থাকিয়া সভয়ে কহিল, কে ? বাহির হইতে সাড়া আসিল, ভয় নেই মা, তুমি ঘুমোও -আমি সাগর। কিন্তু এত রাত্তিরে তুই কেন রে ? সাগর কহিল, হরথুড়ো বলে দিলে, জমিদার এক্সেচে, রাতটাও বড় ভাল নর-মা একলা রয়েচে, যা সাগর লাঠিটা হাতে নিয়ে একবার বসু গে। তুমি গুয়ে পড় মা, ভোর না দেখে আমি নড়ব না। ষোড়শী বিশ্বস্থাপন্ন হইয়া কহিল, তাই যদি হয় সাগর, একা তুই কি করৰি স্বাৰা ? বাহিরের লোকটি একটু হাসিন্ধা কছিল, এক কেন মা, খুড়োকে একটা স্থাৰ Pè