পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (প্রথম সম্ভার).djvu/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ জানাল দিয়া তাহ দেখিয়া শান্তি ক্রমাগত চক্ষু মুছিতে লাগিল—ম দুৰ্গী ! জোড় মোষ দেব-যা চাও, তাই দেব-তাকে ফিরিয়ে দাও-বুক চিরে রক্ত দেব যত চাও—হে মা দুগ যত চাও—যতক্ষণ না তোমার পিপাসা মিটে । গোলাগা পেী ত আর দুই ক্রোশ আছে। অশ্বের ক্ষুর পর্য্যস্ত ফেনায় ভরিয়া গিয়াছে। প্রাণপণে ধূলা উড়াইয়া, আল ডিঙাইয়া, খান টপকাইয়া ঘোড়া ছুটিয়া চলিয়াছে । মাথার উপর প্রচণ্ড সূৰ্য্য । ঘোড়ার উপর থাকিয়াই স্বরেঞ্জের গা-বমি-বমি করিয়া উঠিল, ভিতরের প্রত্যেক নাড়ি যেন ছিড়িয়া বাহির হইয়া পড়িবে ? তাহার পর টপ করিয়া ফোটা দুই-তিন রক্ত কষ বাহিয়, ধূলিধূসরিত পিন্ধানের উপর পড়িল স্বরেন্দ্রেনাথ হাত দিয়া মুখ মুছিয়া ফেলিলেন। একটার পূৰ্ব্বেই গোলাগায়ে উপস্থিত হইলেন। পথের ধারে দোকানে জিজ্ঞাসা করিলেন, এই গোলাগ } -ई ! —রামতন্থ স্তান্তালের বাট ? —ঐ দিকে । আবার ঘোড়া ছুটিল । অল্পক্ষণে বাঞ্ছিত বাটীর সম্মুখে দাড়াইল । স্বারেই একজন সিপাষ্ঠী বসিয়াছিল ; প্রভুকে দেখিয়া প্ৰণাম করিল। বাটীতে কে আছেন ? কেউ না । কেউ না ? কোথায় গেলেন ? ভোরেই নৌকা ক'রে চলে গেছেন । কোথায়—কোন পথে । দক্ষিণ দিকে । নদীর ধারে ধারে পথ আছে ? ঘোড়া দৌড়তে পারবে ?

  • বলতে পারি না । বোধ হয় নেই ।

পুনৰ্ব্বার ঘোড়া ছুটিয়া চলিল। ক্রোশ-দুষ্ট মালিয়া আর পথ নাই। ধোড়া চলে না । ঘোড়া ছাডিয়া দিয়া তখন স্বরেন্দ্রনাথ পদব্রজে চলিলেন । একবার চাহিয়া দেখিলেন জামার উপর অনেক ফোটা রক্ত ধূলায় জমিয়া গিয়াছে। ওষ্ঠ বাহিয়া তখনও রক্ত পড়িতেছে। নদীতে নামিয়া অঞ্জলি ভরিয়া জল পান কৰিলেন, তার পর প্রাণপণে ছুটিয়া চলিলেন । পায়ে আর জুতা নাই—সৰ্ব্বাঙ্গে কাদা, মাঝে মাঝে শোণিতের দাগ, বুকের উপর কে যেন রক্ত ছিটাইয়। श्ब्रिांtछ । ›ፃo“