পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (প্রথম সম্ভার).djvu/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5zं★ोंथं কিছুই মিলল না, হরিবালার সহিত সাক্ষাৎ হইলে জিজ্ঞাসা করিল, ঠানদিদি, আর কিছু বলবে না ? না, আর কিছু না । নিরাশ হইয়া চন্দ্রনাথ কহিল, তবে কেন মিথ্যা ক্লেশ দিয়ে ফিরিয়ে আনলে ? বাড়ি না এলে কি ভাল দেখায় ? তাহার পর দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিলেন, দাদা, যা হবার হয়েছে—এখন তুমি সংসারী না হ’লে আমাদের দুঃখ রাখবার স্থান থাকবে না । চন্দ্রনাথ বিরক্ত হইয়া মূখ ফিরাইয়া বলিল, তা আমি কি করব ? কিন্তু মণিশঙ্কর কিছুতেই ছাড়িলেন না । হাত ধরিয়া বলিলেন, বাবা, আমাকে মাপ কর। সেই দিন থেকে যে জালায় জলে যাচ্চি তা শুধু অন্তৰ্য্যামীই জানেন। চন্দ্রনাথ বিপন্ন হইল, কিন্তু কথা কহিতে পারিল না। মণিশঙ্কর পুনরপি বলিতে লাগিলেন, আবার বিবাহ ক’রে সংসারধৰ্ম্ম পালন কর । আমি তোমাৰ মনোমত পাত্রী অন্বেষণ করে রেখেচি, শুধু তোমার অভিপ্রায় জানবার অপেক্ষায় এ খনও কথা দিইনি। বাব’, এক সংসার গত হ’লে লোকে কি দ্বিতীয় সংসার করে না ? চন্দ্রনাথ ধীরে ধীরে কহিল, এক সংসার গত হয়েচে–সে সংবাদ পেলে পারি। দুর্গ, দুর্গা—এমন কথা বলতে নেই বাবা । চন্দ্রনাথ চুপ করির রহিল। মণিশঙ্কর হঠাৎ কাদিয়া ফেলিয়া বলিলেন, আমার মনে হয় আমিই তোমাকে ংসার-ত্যাগী করিয়েচি । এ দুঃখ আমার মলেও যাবে না ! চন্দ্রনাথ বহুক্ষণ চিন্তা করিয়া বলিল, কোথায় সম্বন্ধ স্থির করেচেন ? মণিশঙ্কর চক্ষু মুছিয়া উঠিয়া বসিলেন। বলিলেন, কলকাতায় ; তুমি একবার নিজে দেখে এলেই হয়। চন্দ্রনাথ কহিল, তবে কালই যাব। মণিশঙ্কর আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বলিলেন, তাই করে। যদি পছন্দ হয়, আমাকে পত্র লিখো, আমি বাটীর সকলকে নিয়ে একেবারে কলকাতায় উপস্থিত হব। কিছুক্ষণ থামিয়া বলিলেন, আমার আর বঁাচবার সাধ বেশী দিন নেই চন্দ্রনাথ, তোমাকে সংসারী এবং মুখী দেখলেই স্বচ্ছন্দে যেতে পারব। পরদিন চন্দ্রনাথ কলিকাতায় আপিল । সঙ্গে মাতুল ব্রজকিশোরও আসিয়াছিলেন । কন্যা দেখা শেষ হইলে ব্রজকিশোর বলিলেন, কন্যাটি দেখতে মা-লক্ষ্মীর মত । לכלץ