পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्भभ আকবর। সেই বেঁটে হিন্দুস্থানীটার ? লাঠির সে জানে কি ? কি বলিস রে গহর, তোর পয়লা চোটেই সে বসেছিল না রে ? [ গহর কথা কহিল না, মাথা নাড়িয়া সায় দিল ] আকবর। মোর হাতের চোটু পেলে সে বঁাচত না গহরের লাঠিতেই বাপ কোরে সে বসে পড়লে দিঠিাকরাণ। তখন ছোটবাবু তার লাঠি তুলে নিয়ে বাধ এটুকে দাড়াল দিদি-ঠাকরাণ, তিন বাপ-ব্যাটায় মোরা হটাতে নারলাম । আঁধারে বাঘের মত তেনার চোখ জলতে লাগল। কইলেন, আকবর, বুড়োমাহ্য তুই সরে যা । বাধ কেটে না দিলে সারা গায়ের লোক মারা পড়বে, তাই বেটুতেই হবে। তুইও ত রে চাষী, তোর আপন গায়েও ত জমি-জমা আছে, সমঝে দেখরে, সব বরবাদ হয়ে গেলে তোর ক্যামন লাগে ? মুই সেলাম কোরে কইলাম, আল্লার কিরে ছোটবাবু, তুমি একটিবার পথ ছাড়। দিদিঠাকুরাণ পাঠিয়েচে মোদের, মোরা জান কবুল দিইচি। তিনি চমকে উঠে কইলেন, তোদের রমা পেঠিয়েচে আকবর, আমারে মারতে ? মুই কইলাম, তবে বাধ এটুকোন ছোটবাৰু, ঘরকে যাও। তোমার আড়ালে দাড়িয়ে ঐ যে কয় স্বযুদি মুয়ে কাপড় জড়ায়ে ঝপাঝপ কোদাল মায়চে ওদের শিরগুলো ক্ষাক কোরে দিয়ে যাই। বেণী । বেইমান ব্যাটারী,—তাকে সেলাম বাজিয়ে এসে এখানে চালাকি মারা হচ্চে ! আকবর। ( তিন বাপ-ব্যাটায় প্রতিবাদের ভঙ্গিতে হাত তুলিয়া) খবরদার বড়বাৰু! বেইমান কোয়ো না । মোরা মোছলমানের ছ্যালে, সব সইতে পারি, ও পারিনি।--(হাত দিয়া কতকটা রক্ত মুছিয়া ফেলিয়া ) আমারে বেইমান কয় দিদি ! ঘরের মধ্যে বসে বেইমান কইচো, বড়বাবু, চোখে দেখলে জানতে পারতে ছোটবাবু কি ! বেণী । (মুখ বিকৃত করিয়া) ছোটবাবু কি! তাই থানায় গিয়ে জানিয়ে আয় না ? বলবি, তুই বাধ পাহারা দিচ্ছিল, ছোটবাবু চড়াও হয়ে তোরে মেরেটে । আকবর । ( জিভ কাটিয়া) তোবা, তোবা! দিনকে রাত করতে বল বড়বাৰু? বেণী । না হয় আর কিছু বলবি। আজ রাত্তিরে গিয়ে জখম দেখিয়ে আয় না-কাল ওয়ারেন্ট বার কোরে একেবারে হাজতে পুরবো। রম, তুমি ভাল কোরে একবার বুঝিয়ে বল না ? এমন স্থবিধা যে আর কখনো পাওয়া ধাবে না ! -- { রমা নীরবে একবার আকবরের মুখের প্রতি চাহিল ] ২৩৭