পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য:সংগ্ৰহ বাটিটা বদলাইয়া দেওয়া হইয়াছে। ভোজ্য ও নৈবেম্ভর বরাহ্ম ঢের বাড়িয়া গিয়াছে। এমন কি, নিত্য নূতন ও নানাবিধ পূজার আয়োজন ও তাছার নিখুঁত বন্দোবস্তের মাঝে পড়িয়া যুদ্ধ পুরোহিত পৰ্য্যন্ত শশব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। জমিদার রাজনারায়ণবাবু এ-সব দেখিয়া শুনিয়া ভক্তি-স্নেহে গাঢ়ম্বরে কহিতেন, ঠাকুর আমার ঘরে তাহার নিজের সেবার জন্ত লক্ষ্মীকে পাঠাইয়া দিয়াছেন—তোমরা কেহ কিছু বলিয়ে না। & যথাসময়ে অপর্ণার বিবাহ হইয়া গেল। মন্দির ছাডিয়া এইবার যে তাহাকে অন্তত্ব যাইতে হইবে, এই আশঙ্কায় তাহার মুখের হাসি অসময়ে শুকাইয়া গেল। দিন দেখান হইতেছে, তাহাকে শ্বশুরবাড়ি যাইতে হইবে। পরিপূর্ণ বিদ্যুৎ বুকে চাপিয়া বর্ষার ঘনকৃষ্ণ মেঘখণ্ড যেমন অবরুদ্ধ গুরুভারে স্থির হইয়া কিছুক্ষণ আকাশের গায়ে বর্ষণোন্মুখভাবে দাড়াইয়া থাকে তেমনি স্থির হইয়া একদিন অপর্ণ শুনিল যে, সেই দেখান-দিন আজ আসিয়াছে। সে পিতার নিকট গিয়া কহিল, বাবা, আমি ঠাকুর-সেবার যে বন্দোবস্ত করিয়া গেলাম তাহার যেন অন্যথা না হয় । বৃদ্ধ পিতা কঁদিয়া ফেলিলেন—তাই ত মা ! না, অন্যথা কিছুষ্ট হবে না। অপর্ণ নিঃশব্দে চলিয়া আসিল । তাহার মা নাই । সে কঁদিতে পারিল না । বৃদ্ধ পিতার দুচোখ-ভরা জল—সে রাগ করিবে কি করিয়া ? তাহার পর, যোদ্ধা যেমন করিয়া তাহার ব্যথিত ক্ৰন্দনোন্মুখ বীর হৃদয় পৌরুষ-শুষ্ক হাসিতে চাপা দিয়া তাড়াতাড়ি অশ্বে আরোহণপূর্বক চলিয়া যায়, তেমনি করিয়া অপর্ণ শিবিকারোহণে গ্রাম ত্যাগ করিয়া অজানা কৰ্ত্তব্যের শাসন মাথা পাতিয়া লইয়া চলিয়া গেল । নিজের উচ্ছসিত অঞ্জ মুছিতে গিয়া তাঙ্গর মনে পড়িল—পিতার অশ্রু মুছাইয়া আসা হয় নাই । তাহার নিজের হৃদয় কাদিয়া কাদিয়া ক্রমাগত তাহার কাছে যেন কত নালিশ করতে লাগিল । একে তাহার হৃদয় শত ব্যথায় বিদ্ধ, তাহার পর কোথায় কোন গ্রামান্তরে মন্দির হইতে যখন সন্ধ্যার শঙ্খ-ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল, তখন সেই DDDBBBBB BBBB BBBSBB BBB BBB BBB BBS BB BBBBB হাহাকার বহন করিয়া আনিল। ছটফটু করিয়া অপর্ণ শিবিকার দ্বার উন্মোচন করিয়া ফেলিল, এবং সন্ধ্যার অন্ধকারের ভিতর দিয়া দেখিতে লাগিল, এবং ছায়ানিবিড় একটা উচ্চ দেবদারু-শিখায় একটা পরিচিত মন্দিরের সমুদ্রত চুড়া কল্পন

  • \op