পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ পা ছু-খানি বাহির করিতেও তাহার লক্ষা করতে লাগিল। না লাগে লেখাপড়ায় মন, না পায় আমোদ-আহলাদে তৃপ্তি। এখানে থাকিতে ইচ্ছা করে না, বাড়ি যাষ্টতেও প্রবৃত্ত নাই। সমস্ত বুকের উপর তাহার বেন দুৰ্ব্বহ যন্ত্রণাভার চাপানে রহিয়াছে, এবং তাহা ঠেলিয়া ফেলিবার জন্য ব্যাকুল বক্ষপঞ্জর পরস্পর ঠোকাঠুকি করিতেছে, কিন্তু বিফল চেষ্টা । * এমনি অস্তুৰ্ব্বেদনা লইয়া সে একদিন অমুখে পড়িল । সংবাদ পাইয়া পিতামাতা ছুটিয়া আসিলেন, কিন্তু অপর্ণাকে সঙ্গে আনিলেন না। অমরনাথও যে ঠিক এমনিটি আশা করিয়াছিল তাহ নয়, তবু দমিয়া গেল। অসুখ উত্তরোত্তর বাড়িতে লাগিল । এ-সময়ে স্বভাবতঃই তাহার অপর্ণাকে দেখিতে ইচ্ছা করিত, কিন্তু মুখ ফুটিয়া সে কথা বলিতে পারিল না, পিতামাতাও তাহ বুঝিলেন না। কেবল ঔষধ-পথ্য আর ডাক্তার বৈদ্য। অবশেষে সে তাহদের হাত হইতে পরিত্রাণ লাভ করিলঅমরনাথ একদিন প্রাণত্যাগ করিল। বিধবা হইয়া অপর্ণ স্তম্ভিত হইয়া গেল । সমস্ত শরীর কাটা দিয়া একটা ভয়ঙ্কর সম্ভাবনা তাহার মনে হইল, এ বুঝি তাহারই কামনার ফল ! ইহাই বুঝি সে মনে মনে এতদিন চাহিতেছিল—অস্থর্যামী এতদিনে কামনা পূর্ণ করিয়াছেন। বাহিরে শুনিতে পাইল যে, তাহার পিতা চীৎকার করিয়া কঁাদিতেছেন । এ কি সব স্বপ্ন ? তিনি আসিলেন কখন ? অপর্ণ জানালা খুলিয়া মুখ বাড়াইয়া দেখিল, সত্যসত্যই রাজনারায়ণবাবু বালকদের মত ধূলায় লুটিয়া কাদিতেছেন । পিতার দেখাদেখি সেও এশর ঘরের ভিতর লুটিয়া পড়িল ; অশ্র-প্রবাহ মাটি ভিজাইয়া ফেলিল । 釁 সভ্য হইতে আর বিলম্ব নাই ; পিতা আসিয়া অপর্ণাকে বুকে তুলিয়া বলিলেন, মা ! অপর্ণা ! অপর্ণ কাদিয়া বলিল, বাবা ! তোর মদনমোহন ষে তোকে মন্দিরে ডেকেচে মা ! চল বাবা, যাই । তোর যে সেখানে সব পড়ে আছে মা ! চল বাবা, বাডি যাই । চল মা, চল । পিতা স্নেহে মন্তক চুম্বন করিলেন, বুক দিয়া সৰ্ব্ব দুঃখ মুছিয়া লইলেন এবং তাছার পর কন্যার হাত ধরিয়া পরদিন বাট আসিয়া উপস্থিত হইলেন। অঙ্গুলি দিয়া দেখাইয়া কছিলেন, ওই মা তোমার মন্দির। ওই তোমার মদনমোহন । নিরাভরণা অপর্ণার বৈধব্য-বেশে তাহাকে আর একরকম দেখিতে হইল। ষেন এই সারা বস্ত্র ও কক্ষ কেশে তাহাকে অধিক মানাইল। সে তাহার পিতার কথা ভারি 哈懿割