পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ মতিবাবু-"র্তাদেরই মত হতে বলছেন । রোমও একদিন খুব বড় সভ্য জাতি হয়েছিল, কিন্তু তাদের সে সভ্যতার এখন কতটুকু অস্তিত্ব আছে!” শরংবাবু।–“দেখুন এ-কথায় আমি সান্থন পাই না। তাদের মত করেও যদি আমরা বড় হতে পারি-( তাতে ক্ষতি কি ?)” মতিবাবু-“তাতে নিশ্চিহ্ন হবার আশঙ্কা আছে।” শরংবাবু।–“পৃথিবীর সমস্ত জাতি নিজের পায়ে ভর করে দাড়াচ্ছে—বড় হয়ে উঠছে ; আমরা পারি না, নিতান্ত নিরুপায় । সেই অবস্থায় আরও ৫০০ বছর পরে কি হবে ভাবতে যাব না। রোমের মত ধ্বংস হয়ে গেলেও ( এখন কিভাবে উন্নতি হবে তাই ভাবতে চাই ) । আমার বলবার উদ্দেশ্য—অামি বড় চিস্তায় পড়েছি। Politics এ যোগ দিয়েছিলুম। এখন তা থেকে অবসর নিয়েছি। ও হাঙ্গামায় মুবিধা করতে পারিনি। অনেক সময় নষ্ট হ’ল । এতটা সময় নষ্ট না করলেও হ’ত। যা গেছে তা গেছে —খানিকট অভিজ্ঞতা জমা হয়ে রইল। (এখন থেকে আমি আমার লেখা নিয়েই থাকব ? ) আমার কথাটা বোধ হয় আপনার ঠিক বোঝেননি—” এই সময় ঐযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ গোস্বামী প্রশ্ন তুলিলেন— , গোস্বামী মহাশয়—“আমাদের কিছু যে ছিল না, তার প্রমাণ কি ?” শরংবাবু-“প্রমাণ আমাদের অবস্থা।” গোস্বামী—“কি-রকম প্রমাণ ! আচ্ছ ধরুন—আমার বাপ-পিতামহ বড়লোক ছিলেন, খুব ঘটা করে দোল-দুর্গোৎসব করে গেছেন ; আমি আজ গরীব হয়েছি বলেই কি বলব, আমার বাপ-পিতামহ দোল-দুর্গোৎসব করে . নি ? সেটা কি সত্য হবে ?” শরৎবাবু।–“আমি তা বলব না। কিন্তু এ-কথা বলব যে, তারা তাদের ঐ দোলদুর্গোৎসবের মধ্য দিয়েই আমাকে এই দুর্দশায় এনে ফেলেছেন।” চারুবাবু-"-ই ঠিক এক কথা নয়“কিছু না থেকে কিছু হওয়ার প্রশ্ন উঠেছে। আপনি এইবার আপনার সাহিত্যিক জীবন সম্বন্ধে আমাদের কিছু বলুন —কেমন করে আপনার সাহিত্যচর্চার স্প,হা কিছু নয়, অর্থাৎ অসাহিত্যিক থেকে আপনাকে বিশ্ববিশ্রুত সাহিত্যিক রূপে পরিণত করে তুলল, তার ক্রমবিকাশের কথা বলুন।” শরৎবাবু-(স-রহস্তে "ভুল, আমি সাহিত্যিক নই—পেটের দায়ে সাহিত্যিক ” চারুবাবু-"আপনার এই কথাটা আমরা বিশ্বাস করব না। জানতে চাই, আপনার সাহিত্য-জীবনের স্বত্রটা কি করে ক্রমবিকাশের ফলে উচ্চশিখরে এসে । দাড়িয়েছে।” * استانها