পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহদাহ जब ! लब्ब| ! लब्व ! ७ई गंग्नि, eई वांछि ७ ऊांशद्र कउ कि चांदब्रांछन नशखझे তাহার—সমস্তই তাহার স্বামীর আদরের উপহার বলিয়া একদিন সবাই জানিল ; আবার একদিন আসিবে যখন সবাই জানিবে ইহাতে তাহার সত্যকার অধিকার কানা-কড়ির ছিল না—ইহার আগাগোড়াই মিথ্যে ! সেদিন লজ্জা সে রাখিবে কোথায়? অথচ আজিকার জন্ত এ-কথা কিছুতেই মিথ্যা নয় যে, ইহার সবটুকুই শুধুমাত্র তাহারই পূজার নিমিত্ত সযত্নে আহরিত হইয়াছে এবং ইহার আগাগোড়াই স্নেহ দিয়া, প্রেম দিয়া, আদর দিয়া মণ্ডিত। এই যে মস্ত জুড়ি দিগ্বিদিক কাপাইয়া তাহাকে বহন করিয়া ছুটিয়াছে, ইহার সুকোমল স্পর্শের স্বথ, ইহার নিস্তরঙ্গ অবাধ গতির আনন্দ—সমস্তই আজ তাহার। আজ যে কেবল তাহারই মুখ চাহিয়া ওই অগণিত দাস-দাসী আগ্রহে প্রতীক্ষা করিতেছে । দেখিতে দেখিতে তাহার মনের মধ্য দিয়া লোভ ও ত্যাগ, লজ্জা ও গৌরব ঠিক যেন গঙ্গা-যমুনার মতই পাশাপাশি বহিতে লাগিল এবং ক্ষণকালের নিমিত্ত ইহার কোনটাকে সে অস্বীকার করিতে পারিল না । কিন্তু তথাপি বাট পৌঁছিয়া বৃদ্ধ রামবাবুর্তাহার সান্ধ্যকৃত্য সমাপন করিতে চলিয়া গেলে, সে যখন অকস্মাৎ শ্রান্তি ও মাথা-ব্যথার দোহাই দিয়া অত্যন্ত অসময়ে দ্রুতপদে গিয়া নিজের ঘরের কপাট রুদ্ধ করিয়া শয্যাগ্রহণ করিল, তখন একমাত্র লজ্জা ও অপমানই যেন তাহাকে গিলিয়া ফেলিতে চাহিল। পিতার লজ্জা, স্বামীর লজ্জা, আত্মীয়-বন্ধু-বান্ধবের লজ্জা, সকলের সমবেত লজ্জাটাই কেবল চোখের উপর অভ্ৰভেদী হইয়া উঠিয়া অপর সকল দুঃখকেই আবৃত করিয়া দিল। শুধুমাত্র এই কথাটাই মনে হইতে লাগিল, এ ফাকি একদিন যখন ধরা পড়িবে, তখন মুখখানা লুকাইবার জায়গা পাইবে সে কোথায় ? অথচ যে সমাজ ও সংস্কারের মধ্যে সে শিশুকাল হইতে মানুষ হইয়া উঠিয়াছে, সেখানে অজিনের শয্যা বা তরুমূল্যবাস কোনটাকেই কাহাকেও কামনার বস্তু বলিতে সে শুনে নাই । সেখানে প্রত্যেক চলা-ফের, মেলা-মেশা, আহার-বিহারের মধ্যে বিলাসিতার প্রতি বিরাগ নয়, অমুরাগকেই উত্তারোত্তর প্রচও হইয়া উঠিতে দেখিয়াছে। যেখানে হিন্দুধর্শ্বের কোন আদর্শের সহিতই তাহার পরিচয় ঘটিতে পায় নাই— পরলোকের আশায় ইহলোকের সমস্ত মুখ হইতে আপনাকে বঞ্চিত করার নিষ্ঠুর নিষ্ঠাকে সে কোনদিন দেখিতে পায় নাই ; সে দেখিয়াছে, শুধু পরের অনুকরণে গঠিত ঘরের সমাজটাকে। যাহার প্রত্যেক নর-নারীই সংসারের আকণ্ঠ-পিপাসায় দিনের পর দিন কেবল শুষ্ক হইয়াই উঠিয়াছে। তাই এই নিরালা শয্যায় চোখ বুজিয়া সে ঐশ্বৰ্য্য জিনিসটাকে কিছুই না বলিয়া উড়াইয়া দিতে. পাৰ্বিল না এবং চাই না, প্রয়োজন নাই, এ-কথাতেও মন &οέ