পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ করতে পারবো না জ্যাঠামশাই, আমরা কালই বিদায় হবে । বলিতে বলিতেই সে কাদিয়া ছুটিয়া পলাইয়া নিজের ঘরে গিয়া কবাট বন্ধ করিয়া দিল। বৃদ্ধ রামবাবু ঠিক যেন বজাহতের ন্যায় মিশ্চল হইয়া বসিয়া রহিলেন। তাহার বিহাল ব্যাকুল দৃষ্টি একবার স্বরেশের আনত মুখের প্রতি, একবার ওই অবরুদ্ধ দ্বারের প্রতি চাহিয়া কেবলই এই বিফল প্রশ্ন করিতে লাগিল, এ কি হইল ? কেন হইল ? কেমন করিয়া সম্ভব হইল ? কিন্তু অন্তৰ্য্যামী ভিন্ন এই মৰ্ম্মান্তিক অভিমানের আর কে উত্তর দিবে। ૭૧ পরদিন প্রভাত হইতেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সেই মলিন আকাশতলে সমস্ত সংসারটাই কেমন একপ্রকার বিধঃ স্নান দেখাইতেছিল । সজ্জিত গাড়ি দ্বারে দাড়াইয়া ; কিছু কিছু তোরঙ্গ, বিছানা প্রভৃতি তাহার মাথায় তোলা হইয়াছে ; পাজির শুভমুহূৰ্ত্তে আচল নীচে নামিয়া আসিল এবং গাড়িতে উঠিবার পূর্বে রামবাবুর পদধূলি গ্রহণ করিতেই তিনি জোর করিয়া মুখে হাসি আনিয়া বলিলেন, মা ; বুড়োমাহুষের মা হওয়া অনেক ল্যাঠা । একটু পায়ের ধূলো নিয়ে, আর মাইল-দুই তফাতে পালিয়েই পরিত্রাণ পাবে যেন মনে করে না । অচলা সজল চক্ষু দুটি তুলিয়া আস্তে আস্তে কহিল, আমি ত তা চাইনে জ্যাঠামশাই । এই করুণ কথাটুকু শুনিয়া বৃদ্ধের চোখেও জল আসিয়া পড়িল। র্তাহার হঠাৎ মনে হইল, এই অপরিচিত মেন্থেটি আবার যেন পরিচয়ের বাহিরে কতদূরেই না সরিয়া যাইতেছে। স্নেহার্দ্র-কণ্ঠে কহিলেন, সে কি আমি জানিনে মা। নইলে স্বামী নিয়ে আপনার ঘরে যাচ্ছ, চোখে আবার জল আসবে কেন ? কিন্তু তবুও ত আটকাতে পারলাম না। বলিয়া হাত দিয়া এক ফোটা অশু মুছিয়া ফেলিয়া আবার হাসিয়া কহিলেন, কাছে ছিলে, রাত্রিদিন উপদ্রব করতাম, এখন সেইটে পেরে উঠবে না বটে, কিন্তু এর স্বদণ্ডদ্ধ তুলে নিতেও ক্রটি হবে না, তাও কিন্তু তুমি দেখে নিয়ো । স্বরেশ পিছনে ছিল, সে আজ এই প্রথম যথার্থ ভক্তিভরে বৃদ্ধের পদধূলি লইয়া প্রণাম করিলে তিনি চুপি চুপি বলিলেন, আমার এখানে আপনি স্থখে ছিলেন না, সে আমি জানি স্বরেশবাবু নিজের গৃহে এবার এইটেই যেন দূর হয়, আমি কায়মনে मांभीरदांम कहेि । ՀօԵ.